নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১২ নভেম্বর : গত পঞ্চায়েত ভোটের প্রিসাইডিং অফিসার তথা করণদিঘির রহটপুর হাইমাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়ের পরিবারের হাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিল জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা মৃত রাজকুমার রায়ের স্ত্রী অর্পিতা বর্মন রায়ের হাতে এই দশ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল করণদিঘির রহটপুর হাইমাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়কে। রাজকুমার রায়ের ভোটের ডিউটি পড়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের দুর্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপুর হাইস্কুলের বুথে৷ কিন্তু ভোটের দিন রহস্যজনকভাবে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে। এরপর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় রায়গঞ্জের সোনাডাঙ্গি এলাকার রেললাইন থেকে। ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে শিক্ষক সংগঠনগুলি৷ এমনকি রাজকুমার রায়ের পরিবারকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে সরব হন তারা৷ পরে চাপে পড়ে রাজ কুমার রায়ের স্ত্রীকে চাকরিতে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। তবে যথাসময়ে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে বেশকয়েকবার বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত করে শিক্ষক সংগঠন গুলি।
এমনকি কিছুদিন আগেও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন সংগঠনের সদস্যরা৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোটকর্মী মারা গেলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সেই নিয়ম অনুসারে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক স্ত্রীর হাতে এদিন তুলে দেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তিনি বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্ভাগ্যবশত ডিউটিতে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রিসাইডিং অফিসার তথা রহটপুর হাইমাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়ের৷ ভোট কর্মীর মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন থেকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় তা অনেক দিন ধরেই পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল প্রশাসন৷ অবশেষে দিন কয়েক আগে সেই টাকা মঞ্জুর করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ক্ষতিপূরণের সেই টাকার চেক স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে এই ক্ষতিপূরণের চেক হাতে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত রাজ কুমার রায়ের স্ত্রী এবং রাজকুমার রায় হত্যার বিচার চাই মঞ্চের প্রতিনিধিরা৷