নিজস্ব সংবাদদাতা , হেমতাবাদ , ২৯ মার্চ : প্রয়াত হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে উৎসর্গ করে গান বেঁধে এলাকায় প্রচার করছেন হেমতাবাদ বাড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র নাথ দাস। জীবনের শেষ বয়সে এমন একজন মানুষের জন্য গান বাধায় নিজেকে ধন্য মনে করছেন দেবেন্দ্রবাবু।
উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার বাড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র নাথ দাস। পেশাগতভাবে তিনি একজন কীর্ত্তন শিল্পী। ছোট বেলা থেকেই নিজে গান বেঁধে কীর্ত্তন করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান। রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র নাথ রায়। তিনি পেশাগতভাবে রাজনৈতিক নেতা। পেশাগতভাবে রাজনৈতিক নেতা হলেও তার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মত একজন ভাল মানুষকে তার জীবদ্দশায় দেখেন নি। বিধায়ক সবসময়ই নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। সাহায্য করেছেন কীর্তন শিল্পী দেবেন্দ্রনাথ দাসকেও। এমন একজন মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটবে তা স্বপ্নেও ভাবেন নি তিনি। গত বছর ১৩ জুলাই ঘুম থেকে উঠে শোনেন বিধায়ক দেবেনবাবুর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। তাকে দেখতে গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ সেখানে যাচ্ছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে তিনিও ছুটলেন তাকে দেখতে। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবেন মোড়ে মোবাইলের দোকানের সামনে তার ঝুলন্ত দেহ দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেন নি। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন, বেঁচে থাকাকালীন তিনি যদি দেবেনবাবুর জন্য কিছু করার সুযোগ পান তবে সেই সুযোগ তিনি হাতছাড়া করবেন না। অল্পদিনের মধ্যেই এসে গেল সেই সুযোগ। এবারে বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদ কেন্দ্রে প্রয়াত বিধায়ক দেবেনবাবুর স্ত্রী চাঁদিমা রায়কে বিজেপি প্রার্থী করেছে। প্রয়াত বিধায়ক দেবেনবাবুর ঋন শোধ করতে লিখে ফেলেন গান। দেবেনবাবুর স্ত্রী চাঁদিমাদেবীর অজান্তেই তিনি গান লিখে সুর দেন। সেই গান দিয়েই এখন চাঁদিমাদেবীর হয়ে প্রচার করছেন। রাজবংশী সম্প্রদায়ের কাছের মানুষ ছিলেন বিধায়ক দেবেন রায়। কীর্ত্তন শিল্পী দেবেন দাস বিধায়কের অকাল মৃত্যুকে নিয়ে যে গান বেঁধেছেন তা হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। কীর্তন শিল্পী দেবেনবাবু জানান, সাড়া জীবন যার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছেন সেই বিধায়ক দেবেন রায়ের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তিনি গান বেঁধেছেন। জীবিত অবস্থায় তিনি সামান্য হলেও বিধায়কের ঋন শোধ করতে পেরে ভাল লাগছে বলে শিল্পী দেবেনবাবু জানিয়েছেন।