বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

মানিকচক , ২০ আগস্ট : বিগত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন নদীর জল বাড়তে থাকায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন মানিকচক ও ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ। এবারে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার জলবন্দি এলাকায় পৌঁছে সমস্ত মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রীও বিতরণ করা হয়। এদিনের কর্মসূচিতে মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর হেম নারায়ন ঝাঁ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মালদার মানিকচক ব্লকের প্রায় কুড়িটি গ্রাম বর্তমানে জলমগ্ন রয়েছে। গঙ্গা নদীর জল বিপদসীমার ছাড়িয়ে জল ঢুকেছে নদী তীরবর্তী বহু গ্রামে। এই অবস্থায় কার্যত দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে প্লাবিত হাজার হাজার মানুষ। মানিকচক, গোপালপুর, ধরমপুর সহ ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জলের তলায় দিন কাটছে। বহু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে ত্রিপলের নীচে আশ্রয় নিয়ে সামিল জীবন যুদ্ধ। শুক্রবার মানিকচক অঞ্চলের গঙ্গার জলে প্লাবিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সাথে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছান মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ হেম নারায়ণ ঝা। সকল মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় পাশাপাশি সরকারিভাবে ওষুধ বিতরণ করা হয়।স্বাস্থ্য পরিসেবা পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা, তবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ রয়েছে বন্যা কবলিত মানুষদের। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম খাদ্যসামগ্রীর সহযোগিতা পৌঁছোয়নি দুর্গত মানুষদের জন্য। বেশকিছু ত্রিপল রাতের অন্ধকারে বিলি করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে তাও আবার পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে প্রদান করছে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের যেভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এগিয়ে এসেছে তার প্রশংসা করেছে এলাকাবাসীরা।এ প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ হেম নারায়ণ ঝা জানান, বহু পরিবার জলের তলায় রয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে কোনক্রমে ত্রিপল এর নিচে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি। জলে প্লাবিত থাকায় এলাকায় জ্বর সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন রোগের দেখা মিলেছে। তবে বড় ধরনের কোনো রোগ এবং ডায়রিয়া জাতীয় রোগের এখনো উপসর্গ নেই এলাকায়। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফের সকল স্তরের কর্মীদের হাই এলার্ট করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তর পরিষেবা দিতে তৎপর রয়েছে। আগামী দিনে ভূতনি এলাকার মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হবে স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফে। কোনরকম রোগ যেন না ছড়ায় সেবিষয়ে সজাগ রয়েছে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ।

Next Post

গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে এক ব্যক্তি

Sun Aug 22 , 2021
কুমারগঞ্জ, ২২ আগস্ট : গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও তার আগেই পাচারের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় পুলিশ। […]

আপনার পছন্দের সংবাদ