নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৮ নভেম্বর : করোনা আবহ এবছর বদলে দিয়েছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে। দুর্গাপূজার পর এবারে কালীপুজোতেও রায়গঞ্জের মালাকার শিল্পীদের ঘরে জমাট বাঁধা অন্ধকার। গত বছরের তুলনায় প্ল্যাস্টিকের রকমারী মালার চাহিদা কমে গিয়েছে প্রায় নব্বই শতাংশ। বিক্রি কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই শিল্পীরা।
উল্লেখ্য প্রতিবছর কালীপূজার আগে তুমুল ব্যাস্ততা লক্ষ করা যায় রায়গঞ্জের কাঞ্চনপল্লীতে অবস্থিত মালাকার শিল্পীদের ঘরে ঘরে। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি পরিবার বংশানুক্রমিক ভাবে পুজোর সময় দেবীপ্রতিমার জন্য রকমারী মালা বানিয়ে আসছে। ঠিকা শ্রমিকেরাও দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে এই কাজ করে থাকেন। অন্যান্য বছর এই শিল্পীদের তৈরী প্ল্যাস্টিকের মালা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পাড়ি দিত প্রতিবেশী বিহার রাজ্যেও। তবে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারনে অনেক পুজো কমিটি তাদের বাজেট কাটছাঁট করেছে। ফলে মালার চাহিদা একেবারেই তলানীতে এসে ঠেকেছে। একধাক্কায় বরাতের পরিমান কমে গিয়েছে প্রায় নব্বই শতাংশ। মালা বিক্রি না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। শঙ্কর মালাকার নামে এক শিল্পী বলেন,” এবছর অবস্থা খুব খারাপ। পুজোর কয়েকদিন আগেও পর্যাপ্ত অর্ডার মেলে নি। তৈরী করা মালা কারখানাতেই পরে রয়েছে। করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় বিক্রি নেই বললেই চলে। ” যাদের হাতের শিল্পনৈপুণ্য এ দেবী প্রতিমা সালংকারা হয়ে ওঠেন সেইসব শিল্পীদের জীবন এবছর এক ঘোর অনিশ্চয়তার সম্মুখীন।