নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৮ নভেম্বর : রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজো প্রায় পাঁচশো বছরের ও বেশী প্রাচীন। দিনাজপুরের রাজাদের হাতে মায়ের পুজো শুরু হলেও বর্তমানে স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্যরাই পুজোর আয়োজন করে থাকে। এবছর করোনা আবহে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে এখানে।
উল্লেখ্য এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক গল্পকথা। শোনা যায় একটা সময় দিনাজপুরের রাজা ঘোড়ার গাড়ি করে এই স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। আচমকাই গাড়ির চাকা আটকে যায়। শত চেষ্টাতেও গাড়ি এগোয় নি। সেদিন রাতে রাজাকে মা স্বপ্নাদেশ দেন এই স্থানে পুজো করার জন্য। সেই নির্দেশ মেনেই রাজার হাতে পুজো শুরু হয় এখানে। দেবীর স্বপ্নাদেশ মেনে মন্দির তৈরী হলেও মন্দিরের কোনো ছাদ নেই। খোলা আকাশের নীচেই পূজিতা হন দেবী। এই পুজোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল দেবী সূর্যের মুখ দেখেন না। কালীপুজোর দিন সকাল থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু হয়। রাতে মন্দিরে দেবীর পুজো হয়। আর সূর্যাস্তের আগেই নদীতে সেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। আগে পুজোতে পাঁঠাবলির নিয়ম থাকলেও গত বছর থেকে এই প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সাধন মুখার্জী বলেন,” পাঁচশো বছরের এই প্রাচীন পুজো দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর মানুষ আসেন।। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। প্রাচীন রীতি মেনেই দেবীর পুজো সম্পন্ন হয় এখানে।” অন্যদিকে পুজো কমিটির সদস্য দেবাশীষ দত্ত বলেন,” প্রতিবছর বহুভক্তের ভীড় হয় মন্দিরে। কিন্তু এবারে করোনা সংক্রমণের কারনে ভক্তদের ডালা,ফুল বা প্রসাদ নেওয়া হবে না। মন্দির চত্বরে ভীড় নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখা হবে।