নিউজ ডেস্ক , ১৩ই নভেম্বর : নদীতে দেখা মিলেছে কুমিরের। এবারে সেই কুমিরের সন্ধানে মালদার এসে পৌঁছোলেন সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মীরা। নদী তীরবর্তী এলাকায় নজরদারি সহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সুন্দরবন থেকে আসা বনদপ্তরের কর্মীরা। কুমিরের সন্ধানে নদীতে জারি রয়েছে তল্লাশি।
মালদার মানিকচকের কালিন্দী নদীতে কুমিরের দেখা মিলতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিরের নদীর পাড়ে উঠে রোদ পোহানোর ছবি ভাইরাল হতেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মালদার মানিকচক ব্লকের কাঞ্চনটোলা সাহেবনগর এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে কালিন্দী নদী। সম্প্রতি এই নদীতেই দেখা মিলেছে একটি বিশাল আকৃতির কুমিরের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় নদীর পাড়ে। প্রথমে কুমির না ঘড়িয়াল, তা নিয়ে বেশ সন্দেহ তৈরি হয়। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরকে। এলাকায় পৌঁছান মালদার বিভাগীয় বনাধিকারিক, পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। এরপরই বনদপ্তর কুমিরের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন। এরপরই শুরু হয় তৎপরতা। প্রসঙ্গত, গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদী ব্যবহার করেন বহু মানুষেরা। স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও এই নদীতে মাছ ধরেন। এই পরিস্থিতিতে এলাকার সাধারণ মানুষকে নদীতে না নামার পরামর্শ দেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। খাদ্যের সন্ধানেই কুমিরটি এই নদীতে এসেছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান বন দপ্তরের। বন দপ্তর সুত্রে জানা যায়, নদীতে কুমির ধরার মতো বিশেষজ্ঞ কোন দল মালদায় না থাকায় সুন্দরবন বন দপ্তর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সাহায্য চাওয়া হয়। এরপরই রবিবার আটজনের একটি দল সুন্দরবন থেকে মানিকচকের কাঞ্চনটোলা সাহেবনগর এলাকায় এসে পৌঁছায়। রবিবার সকাল থেকে নদীতে কুমিরের সন্ধানে নজরদারি চালাচ্ছে বনদপ্তরের কর্মীরা। পাশাপাশি এলাকায় রয়েছে পুলিশকর্মী এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। কুমিরের দেখা মিলতেই পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।অপরদিকে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে যাতে কুমিরের কোন রকম ক্ষতি না করে সেদিকেও নজর রাখছে বন দপ্তর ও প্রশাসন।