নিজস্ব সংবাদদাতা, ইটাহার, ১ মে : করোনা আবহে দেশজুড়ে যখন রাজ্যে সমস্ত স্কুল বন্ধ, সেখানে একেবারেই উল্টো চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের গুলন্দর এক অঞ্চলের মাধবপুরে একটি বেসরকারি প্রাইমারী স্কুলে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে কার্যত অমান্য করে রমরমিয়ে চলছে বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন।
স্কুলের বাচ্চারা মাস্ক ছাড়াই দুটি অটোরিক্সায় গাদাগাদি করে স্কুলে যাচ্ছে। মাস্ক ছাড়াই স্কুলের চৌহদ্দিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও স্কুলের শিক্ষকরা সকলেই মাস্ক ব্যবহার করছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা খবর পেয়ে ক্যামেরা নিয়ে স্কুলে পৌছালে তাঁদের ক্লাসরুমে ঢুকতে বাধা দেন স্কুলের মালিক নুরুল ইসলাম। যদিও সেই বাধার মধ্যে দিয়েই যে ছবি ধরা পড়েছে তা রীতিমত শিউরে ওঠার মত। গাদাগাদি করে প্রায় শতাধিক বাচ্চা স্কুলের ক্লাস করছে। নার্সারি থেকে ক্লাস ফাইভ সব ক্লাসেই আছে পড়ুয়ারা।ক্যামেরা দেখেই স্কুলের মালিক নুরুল ইসলাম বোঝানোর চেষ্টা করেন, সমাজে স্কুল বন্ধ হয়ে ক্ষতি হচ্ছে। তাঁর দাবি, স্কুলের পড়ুয়ারা দূরত্ববিধি মেনেই ক্লাস করছে। মাস্কও ব্যবহার করছে।যে অভিভাবকেরা স্কুলে তাঁদের শিশুদের পাঠাচ্ছেন তাঁদের অধিকাংশই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তবে কথা বলে জানা গিয়েছে, তাঁদের বলা হয়েছে লকডাউন হলেই আবার স্কুল বন্ধ করা হবে। এই বিষয়ে ব্লকের জয়েন্ট বিডিও মহাঃ জাহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই স্কুল সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। কোভিড সতর্কতার জন্য ব্যপক আকারে প্রচার চলছে। তাই খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। যদি দেখা যায় বিধি ভেঙে বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চলছে তবে দ্রুত এই স্কুল বন্ধ করা হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও। কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন উঠছে যখন নির্বাচন কমিশনকেও দেশের আদালত ভর্ৎসনা করছে কোভিড বিধি না মানার জন্য, যখন বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অতিমারীর কারনে, সেই সময়ে কী করে একটি বেসরকারি স্কুল খোলা আছে? কেন এতদিন কেউ এই স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না? তা নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন।