নিজস্ব সংবাদদাতা , ইটাহার , ২৩ ফেব্রুয়ারি : পাকা রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তোলায় এলাকার সাধারন মানুষদের মারধর করার অভিযোগ উঠল রাস্তার নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো ইটাহার থানার গুলন্দর দুই নম্বর অঞ্চলের পুকুরিয়া গ্রামে।
উল্লেখ্য, ইটাহার থানার গুলন্দর ১ নম্বর অঞ্চলের কুমেদপুর থেকে গুলন্দর ২ নম্বর অঞ্চলের পুকুরিয়া গ্রামে যাওয়ার প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের রাস্তা সংস্কারের কাজ করার পাশাপাশি সম্পূর্ন রাস্তাও মেরামত করেনি ওই নির্মাণকারী সংস্থা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীরা এলাকার সাধারন মানুষদের বেধরক মারধর করেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। যদিও পরবর্তীতে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ছুটে আসে ইটাহার থানার পুলিশ। অবিলম্বে পুনরায় ওই রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা। উল্লেখ্য, বাংলা সড়ক যোজনার অন্তর্গত ইটাহার থানার গুলন্দর ১ নম্বর অঞ্চলের কুমেদপুর থেকে গুলন্দর ২ নম্বর অঞ্চলের পুকুরিয়া গ্রামে যাওয়ার প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। ওই পাকা রাস্তার কাজ সংস্কার নিম্নমানের ও সঠিক দূরত্ব পর্যন্ত কাজ না করার অভিযোগে গ্রামের কিছু বাসিন্দারা রাস্তার কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসীদের মারধরের অভিযোগ উঠল নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীদের মারধরে আহত হন গ্রামের কিছু বাসিন্দা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইটাহার থানার গুলন্দর দুই অঞ্চলের পুকুরিয়া গ্রামে। যদিও এদিন পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইশা বলেন, এলাকায় রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদের খুব সুবিধে হবে। কিন্তু ওই ঠিকাদারি সংস্থা নিম্নমানের কাজ করে চলেছে। এমনকি কাজ শেষের দিকে চলে গেলেও নিদির্ষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত কাজের আগেই কাজ শেষ করতে চলেছে ওই সংস্থা। অথচ সেই কাজ সম্পন্ন করার কথা পুকুরিয়া সুঁই নদীর ঘাট পর্যন্ত। বারংবার নির্মাণকারী সংস্থাকে এই বলা সত্ত্বেও কোনো লাভ হচ্ছে না। মঙ্গলবার যখন এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান তখন আমাদের গ্রামের কিছু সাধারন মানুষকে বেধরক মারধর করে ওই নির্মাণকারী সংস্থার সদস্যরা। তাতে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আমরা বারংবার বলেছি ইঞ্জিনিয়ার আসলে আমরা তাদের অভিযোগ জানাবো, কিন্তু কোন কথাই শোনেননি ওই ঠিকাদার সংস্থার সদস্যরা। গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুকুরিয়া গ্রামে আসে ইটাহার থানার পুলিশ। যদিও এদিন নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়ম মেনে রাস্তার কাজের সংস্কার চলছে।