নিউজ ডেস্ক, ১১ এপ্রিল : শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচন চলাকালীন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদের রবিবার রাজ্যজুড়ে কালো দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বরানগরে ভোট-প্রচার থেকে শীতলকুচি নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বরাহনগরে দলীয় প্রার্থী পার্নো মিত্রের সমর্থনে জনসভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এত দুষ্টু ছেলে কোথা থেকে এল? ওই দুষ্টু ছেলেরা থাকবে না বাংলায়। সবে শুরু হয়েছে, এটা সারা বাংলায় হবে। যাঁরা ভেবেছেন বাহিনী বন্দুকটা দেখানোর জন্য এনেছে, তাঁদের বলি বাহিনী শুধু বন্দুকটা দেখাতে আসেনি। কেউ যদি আইন হাতে নিতে আসে তাঁকে যোগ্য জবাব দিতে হবে।”এর পরে পঞ্চম দফার ভোটের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সংশ্লিষ্ট ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “১৭ তারিখে ভোট দিতে যান, বাহিনী থাকবে। ভোট দিতে না পারলে আমরা আছি। শীতলকুচিতে কী হয়েছে দেখেছেন তো? বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।”ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় আগামী ৭২ ঘণ্টা যে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই বিধিতে পড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে যেতে পারেননি শীতলকুচিতে। তবে শীতলকুচির নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, মৃতের পরিবারের দায়িত্ব সম্পূর্ণ তাঁর। ১৪ তারিখ দেখা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কমিশনের নির্দেশিকা নিয়েও।রবিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন ভিডিয়ো কলে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “সারাজীবন লাশের রাজনীতি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারে লাশ তুলতে যেতে চেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, রাস্তায় লাশ ফেলে বসবেন। বলবেন, ‘দেখুন, আমার লোকেদের মেরেছে। ভোট দিন।’ কিন্তু কমিশন ঠিক করেছে, ওই উপদ্রুত এলাকায় কোনও নেতা-নেত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, যাতে কেউ আগুন জ্বালাতে না পারেন। তাই খুব কষ্ট হচ্ছে। শিলিগুড়িতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছেন। উনি বুঝতে পেরেছেন, মানুষ ভোট দেবেন না।”