
নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১০ মে : গত বছর থেকেই করোনা সংক্রমণের কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাজ্যের সব ধরনের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান। গতবারের পুজোয় সেভাবে ব্যাবসা হয়নি। ব্যাবসায়ীরা আশায় ছিলেন নতুন বছরের উৎসবের মরশুমগুলোতে বিকিকিনি বাড়বে।
কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ২১ এও। রাজ্য সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কিছু বিধিনিষেধ ও আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১০ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বাজার ও দোকানপাট খোলা থাকবে। বাকি সময় সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাবসায়ীরা। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েছেন কাপড় ও রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীরা। সকাল ৭ টায় দোকান খুললেও সেসময় কোনও ক্রেতাই আসেনা। বেলা ১০ বাজতেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে দোকান, ফলে কোনও কোনও দিন এক টাকাও বিক্রি হয়না। তারপর সারাদিন বন্ধ রাখার পর বিকেল ৫ টায় দোকান খুললেও শহরের দুএকজন খদ্দের ছাড়া আর কারও দেখা মেলেনা। বস্ত্র ব্যাবসায়ী সুমন দাস জানিয়েছেন, মূলত শহর সংলগ্ন গ্রামগঞ্জ থেকে খদ্দেররা রায়গঞ্জ শহরে কেনাকাটা করতে আসেন। কিন্তু তাঁরা যেসময় শহরে আসেন সেসময়ই আংশিক লকডাউনের জন্য দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয়। ফলে ফিরে চলে যাচ্ছেন গ্রামগঞ্জের খদ্দেররা। এমতাবস্থায় দোকানের মালিক থেকে কর্মচারী সকলেই সমূহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাই দাবি উঠেছে হাট বাজার দোকানপাট খোলার সময়সীমা বাড়ানোর। কারন ব্যাবসা না হলে ভেঙে পড়বে পুরো আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো।
