নিউজ ডেস্ক, ১০ এপ্রিল: চতুর্থ দফার ভোটেও হিংসা ছড়াল রাজ্যে। চুঁচুড়ায় আক্রান্ত হলেন প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। লকেটকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। হাতেও চোট পেয়েছেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, সে জন্যই তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন।শনিবার সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ চুঁচুড়া বিধানসভার ৬৬ নং বুথের ঘটনা। লকেটের অভিযোগ, ওই বুথে তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিলেন বলে খবর পেয়ে দ্রুত বুথে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের এক মহিলা কর্মী। তাঁকে হাতেনাতে ধরতেই তাঁকে ঘেরাও করে ফেলেন স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। এমনকী তাঁকে ও তাঁর দলের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ করেন লকেট। পাল্টা তৃণমূল বলেছে, লকেট ওই বুথে ঢুকে প্রার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বলেই স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন তাঁকে।যদিও তৃণমূলের তরফে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল বলেছে, লকেট চট্টোপাধ্যায় ওই বুথে ঢুকে প্রার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বলেই বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও প্রার্থীর অভিযোগের পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়।ঘটনার পর বুথে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবিতে কমিশনের পর্যবেক্ষককে ফোন করেন লকেট। সঙ্গে ওই বুথে ফের ভোটগ্রহণের দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই বুথ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।