
হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৪ জুন : কাকার বাড়ির জায়গা ও জমি দখল করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতা ভাইপোর বিরুদ্ধে। ফলে পরিবার নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে বাস করছে রোজগারহীন পরিযায়ী শ্রমিক কাকা।ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের আলিনগর গ্রামে।উল্লেখ্য, এলাকার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক রবিউল শেখ দিল্লীতে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নিয়ে।
গ্রামের বসতবাড়ির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন ভাই সফিজুল ও ভাইপো তৃণমূল নেতা আলাউদ্দিন সাবিরকে। কিন্তু করোনা আর লকডাউনে কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরে এসে দেখেন তাদের বসতবাড়ির জায়গায় নতুন বাড়ি করেছে ভাইপো। এমনকী তার সামান্য জমিটুকুও আত্মসাৎ করেছে ভাইয়ের পরিবার। পরিবর্তে তাদেরকে যে জমি দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই জলা জমি। ফলে বাড়ি-জমি হারিয়ে পরিবারকে নিয়ে তিনদিন খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাতে বাধ্য হন রবিউল। তিনমাস ধরে বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিয়েছেন স্থানীয় আলিনগর প্রাথমিক স্কুল চত্বরে। দুই মেয়ে এক ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে প্রাথমিক স্কুলেই বাস করছেন তাঁরা। এখানে এসে সেভাবে কাজও পাননি। ফলে ভিক্ষাবৃত্তি সম্বল। তা দিয়েই কোনমতে জুটছে আহার। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি। উল্টে তাদেরই গ্রামছাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছেন অসহায় ওই ব্যক্তি। অসহায় রবিউল বলেন, দিল্লিতে কাজের যাওয়ার সময় ভাই আর ভাইপোকে বাড়ির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন তাদের বাড়িঘর সব ভেঙে জায়গা দখল করে নিয়েছে।এটা তার পৈতৃক ভিটে ছিল। বোন নাকি সেই জমি বিক্রি করে দিয়েছে। বদলে তাকে যে জমি দেওয়া হয়েছে তা একেবারে জলা জমি। ফলে সেখানে ঘর বানানো সম্ভব নয়। তার ভাইপো তৃণমূল করায় পঞ্চায়েত, বিধায়ককে জানানো হলেও কেউই কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এদিকে সরকারের দেওয়া ঘরের লিস্টে তার নাম থাকলেও কবে পাবেন তাও অজানা তার।যদিও তার ভাইপো আলাউদ্দীন সাবির তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তাদের জায়গার পরিবর্তে জায়গা দেওয়া হয়েছে।এখন তারা ঘর না করতে পারলে তার কিছু করার নেই। তবে তারা চাইলে তিনি ঘর বানিয়ে দিতে চেষ্টা করবেন।পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকেও জড়িয়ে কোন লাভ নেই বলে দাবী আলাউদ্দীনের।
আরও খবর পড়ুন : নদী থেকে পৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়
