নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, ১৩ এপ্রিল : বিধানসভার নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার অর্থাৎ উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভোটগ্রহণের প্রাক মুহুর্তে উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিজেপি সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে।
তার জায়গায় এলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব সরকার। নির্বাচন চলাকালীন উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইসলামপুরে অমিত শাহের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত রোডশোয়ের দিনেই এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।গত কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকবার এই পদে আসীন নেতাদের পরিবর্তন করা হল। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি নির্মল দাম কে সরিয়ে এই পদে বসানো হয়েছিল বিশ্বজিৎ বাবুকে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচন ও নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তোলার গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বিশ্বজিৎ বাবু। কিন্তু আচমকাই তার এই অপসারণে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছে বিভিন্ন মহলে। উল্লেখ্য এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই জেলা জুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীপদ ঘোষণার দিন রাতে রায়গঞ্জে অবস্থিত জেলা বিজেপির জেলা কার্যালয়ে রীতিমতো ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকরা। এছাড়াও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিশ্বজিৎবাবু নাকি প্রার্থী হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সাথেও নাকি তার মতবিরোধ ছিল তীব্র। ফলে দলের জেলা সংগঠনের শীর্ষ পদ থেকে আচমকাই বিশ্বজিৎ বাবুকে সরিয়ে দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। যদিও এই বিষয়টিকে সংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। অন্যদিকে, যাকে নিয়ে এত বিতর্কের সূত্রপাত,সেই বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, তিনি এখনও এই অপসারনের বিষয়টি জানেন না। তবে দল যদি এই সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তিনি তা সাদরে মেনে নেবেন। তার বদলে যেই এই পদে আসীন হন না কেন, তার সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সংগঠনকে আরও মজবুত করে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।