নিউজ ডেস্ক , ১০ মার্চ : আবারও শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। মেয়ের ওপর পাশবিক অত্যাচারের ন্যায়বিচার পেতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করার পর বুধবার সকালে মেয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সকাল নাগাদ হাসপাতালের সামনে রাস্তায় গিয়েছিলেন।
ঠিক সেই সময়ই আচমকাই একটি ট্রাক দ্রুতগতিতে এসে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের দাবি পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে তাকে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এটি নিছকই দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি গ্রামের ১৩ বছরের ওই নাবালিকাকে সোমবার গণধর্ষণ করে গ্রামেরই তিন যুবক। এরমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত গোলু যাদবের বাবা কনৌজ জেলার একটি থানার সাব ইন্সপেক্টর। এরপরই থানায় অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। এরপরই হুমকি দিতে শুরু করে অভিযুক্তের পরিবার। এরপর নিয়ম মেনে বুধবার ওই নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সকালে ওই কিশোরীর বাবা তার মেয়েকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান। তার বাবা হাসপাতালের বাইরে বের হন। এর মাঝেই রাস্তা পার হওয়ার সময় আচমকা একটি ট্রাক এসে তাকে পিষে দেয়। তড়িঘড়ি তাকে কানপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি পরিকল্পনা করেই তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।