নিউজ ডেস্ক , ০৫ নভেম্বর : আর ক’দিন বাদেই আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালীপুজো। সেই সাথে উৎযাপন হবে ধনতেরাস। ধনতেরাস মূলত অবাঙালিদের উৎসব হলেও এখন বাঙালিরাও ধনতেরাস উৎসবে সামিল হন। ধনত্রয়োদশী বা ধন্বন্তরী-ত্রয়োদশী, সংক্ষেপে ধনতেরাস। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের এয়োদশী তিথিতে হয় ধনতেরাস।
ত্রয়োদশী শব্দের অর্থ হিন্দু ক্যালেন্ডারের ১৩তম দিন। দীপাবলীর সময় লক্ষ্মীপুজোর দুই দিন আগে ধনতেরাস হয়। ধনতেরাসের দিনে মূল্যবান ধাতুর জৌলুসে আকৃষ্ট হয়ে মা লক্ষী স্বয়ং আসেন গৃহস্থের বাড়িতে ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন। পাশাপাশি এদিন সম্পদের দেবতা কুবেরও পূজিত হন। ধনতেরাস শুরুর ইতিহাস হিসেবে জানা যায়, একসময় দুর্বাশা মুনির অভিশাপে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হন দেবী লক্ষ্মী। রাক্ষসদের সঙ্গে লড়াই করে ধনতেরাসেই দেবতারা ফিরে পান মা লক্ষ্মীকে। হারিয়ে যাওয়া লক্ষ্মীকে ফেরানোর উৎসবই হচ্ছে ধনতেরাস। এছাড়াও শোনা যায়, রাজা হিমের ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চতুর্থ দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও সেই কথা জানত। তাই রাজা হিমের ছেলেকে বিয়ের চতুর্থ দিন যমের হাত থেকে বাঁচাতে বধূ একটা নতুন পরিকল্পনা করলেন। প্রচুর ধনরত্ন, সোনা-রূপো দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে তা ঘিরে রাখেন। প্রদীপের আলোয় সোনার জৌলুসে চোখ ধাঁধিয়ে যায় যমের। চোখে আলোর ঝলকা লাগে যমের। পথ ভুল হয়, বেঁচে যায় রাজা হিমের পুত্র। এর থেকেই নাকি শুরু হয় ধনতেরাসের বিশেষ দিন। ভারতীয় শাস্ত্র মতে, পাঁচদিনের দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয় এই ধনতেরাসের হাত ধরে। প্রথা মতো অশুভ শক্তি বিনাশের জন্য ধাতু কিনে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় ধনদেবীর আরাধনা।