নিউজ ডেস্ক, ০৫ নভেম্বর : করভা চৌথ শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই ব্রত পালন করেন। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম ভারতে এই ব্রতের প্রচলন বেশী হলেও বর্তমানে অন্যান্য স্থানেও নিষ্ঠা করে পালন করা হয় এই উৎসব।
মহিলারা তাঁদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় নির্জলা উপবাস করেন। সারাদিন উপবাস করে সন্ধ্যা বেলা চালুনিতে চাঁদ ও স্বামীর মুখ দেখে উপবাস ভাঙ্গাই নিয়ম। সূর্যোদয়ের আগে থেকে শুরু হয় উপবাস এবং সেটি চাঁদ না দেখা যাওয়া পর্যন্ত ভাঙা যায় না। এই ব্রত পালনে রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম –
করভা চৌথের পুজোয় স্ত্রীরা তাদের স্বামীর মঙ্গল কামনায় উপবাস থেকে চন্দ্রদেবতার কাছে প্রার্থনা করেন। চালুনি দিয়ে পুজোর থালায় রাখা প্রদীপের আলোয় স্বামীর মুখ দেখে তাঁকে বরণ করে নেন। এরপর মাটির পাত্র থেকে স্ত্রীকে জল খাইয়ে তাঁর উপবাস ভঙ্গ করেন স্বামী।
করবা চৌথের উপবাস শুরু হওয়ার আগে শাশুড়িরা তাঁর পুত্রবধূকে সারগি দেন। যাতে মিষ্টি, জামাকাপড়, সাজসজ্জার জিনিস থাকে। এই দিন বাদামি এবং কালো রঙের কোনো পোশাক পরা খুব অশুভ। লাল রঙের পোশাকেই সবচেয়ে শুভ হিসাবে মানা হয়। প্রয়োজনে হলুদ রঙের পোশাকও পরতে পারেন। তবে কেবলমাত্র বিবাহিত মহিলারাই যে এই ব্রত পালন করেন তা কিন্তু নয়। যে সমস্ত মেয়েদের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে তাঁরাও তাঁদের বিশেষ মানুষটির জন্য উপবাস রাখতে পারেন। তবে এই ব্রতর বহু পৌরাণিক ব্যাখ্যা ও গল্পের প্রচলন রয়েছে। কথিত আছে, ‘করবা’ নামের এক পতিব্রতা নারী যমরাজের সম্মুখীন হয়ে কুমিরের গ্রাস থেকে উদ্ধার করেছিলেন তাঁর স্বামীকে। তাঁর নামানুসারে এই ব্রতের নামকরণ। এছাড়াও কথিত আছে, সত্যবানের জীবন ফিরে পেতে সাবিত্রীও পালন করেছিলেন এই ব্রত। সারা ভারতবর্ষ মেতেছে এই উৎসব পালনে। সাজো সাজো রব ব্রতীর বাড়িতে।করবা চৌথ পালনের ঠিক চার দিন পরে পালিত হয় আহোই অষ্টমী ব্রত।