নিউজ ডেস্ক , ০৭ ডিসেম্বর : “কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? সরাও প্রেসকে এখান থেকে। কেন দলের মিটিংয়ে প্রেস ডাকো তোমরা? কর্মী বৈঠক হচ্ছে আর সবাই টিভি–তে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি দলের সভানেত্রী আমি আপনাদের নির্দেশ দিচ্ছি প্রেসকে সরান।” এমনই মন্তব্য করে বর্তমানে খবরের শিরোনামে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলকে শক্তিশালী করতে উঠে পড়ে লেগেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। দলকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে দলীয় কর্মীদের নিয়ে নানারকম বৈঠক ও আলোচনাসভা। উল্লেখ্য রবিবার গয়েশপুরের সুকান্ত সদনে এক দলীয় বৈঠকে হাজির হন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু তার মাঝেই কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন তিনি। পোস্টার প্ল্যাকার্ড হাতে তৃণমূল নেতা মিন্টুদের নেতৃত্বে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। দলেরই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। আর তাতেই মেজাজ হারান নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ। উল্লেখ্য গয়েশপুরের দলের নতুন সভাপতি পদে নির্বাচন করা হয়েছে কল্যাণীর বাসিন্দা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে। এই নিয়েই দলের একাংশের মধ্যেকার ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয় মহুয়া মৈত্রের সামনে। পরিস্থিতি এতোটাই জটিল হয়ে পড়ে যে, মহুয়া মৈত্র গাড়ী থেকে নামার পর্যায়ে ছিলেন না। এমনকি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিজের মেজাজ সংযত রাখতে না পেরে দলীয় কর্মী এবং সাংবাদিকদের উপর মেজাজ চড়িয়ে প্রয়োগ করলেন নানান আপত্তিকর ভাষা। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের আক্রমণ করে বলেন, ‘এই দু পয়সার প্রেসকে কেন মিটিং-এ ডাকো? সরাও প্রেসকে এখান থেকে। কেন প্রেস ডাকো তোমরা দলের মিটিং-এ? বৈঠক হচ্ছে বলেই, সবার টিভিতে পেপারে মুখ দেখানোর এত শখ’। সাংসদের এই মন্তব্যে নিন্দায় সরব হয়েছেন সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।