আজকের দিনেই হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলে ছিল আমেরিকা

আজকের দিনেই হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলে ছিল আমেরিকা

নিউজ ডেস্ক, ৬ আগস্ট : সময়টা ১৯৪৫। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন শেষের পথে। লড়াইয়ের শেষ মুহূর্তেও নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে ছিল একাধিক রাষ্ট্র। ক্ষমতা প্রদর্শন ও এলাকা দখলের লড়াইয়ের বিশ্বযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বের বহু রাষ্ট্র। আর ঠিক এই লড়াইয়ে এগিয়েছিল বিশ্বের সর্বশক্তিমান রাষ্ট্র আমেরিকা।

জাপান আত্মসমর্পণ না করায় আগষ্ট মাসের ৬ এবং ৯ তারিখে যথাক্রমে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে পরমাণু বোমা ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে সেই প্রথম কোন যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল এই গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র। যার ফলে নিহত হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। তবে এই পরমাণু বোমা হামলার পর এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আকস্মিক পরিসমাপ্তি ঘটে। ১৪ই আগস্ট জাপান নিঃশর্তভাবে মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।তবে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের লড়াই থেমে গিয়েছিল ১৯৪৫ সালের ৭ই মে। এরপর মিত্র বাহিনী ২৮শে জুলাই জাপানকে আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেয়। কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যে জাপান আত্মসমর্পণ করেনি। ফলে জাপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মোট ৭১ হাজার সৈনিক নিহত হয়। এদের মধ্যে ১২ হাজার মারা যায় জাপানের হাতে যুদ্ধবন্দী অবস্থায়।এরপর ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট জাপানি সময় ঠিক সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বি-২৯ বোমারু বিমান, যেটির নাম ছিল ইনোলা বে, হিরোশিমায় প্রথম পরমাণু বোমা ফেলে। ইনোলা গে বিমানের ক্রুরা বিমান থেকেই হিরোশিমায় বোমা ফেলা হয়। বিশ্বে কোন যুদ্ধে পরমাণু বোমা ব্যবহারের এটাই ছিল প্রথম ঘটনা।হিরোশিমায় যে বোমাটি ফেলা হয়েছিল, মার্কিনীরা তার নাম দিয়েছিল ‘লিটল বয়।’ এটির শক্তি ছিল প্রায় ১২ হতে ১৫ হাজার টন টিএনটির বিস্ফোরণ ক্ষমতার সমান। পাঁচ বর্গমাইল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল এটি। হিরোশিমার শতকরা ৬০ ভাগ বাড়ি একদম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বোমার শিকার এক মানুষের ছাপ স্থায়ীভাবে আঁকা হয়ে গেছে সিড়ির পাথরে। এর তিনদিন পর, ৯ই আগস্ট জাপানি সময় সকাল ১১টা ২ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি পরমাণু বোমা ফেলে নাগাসাকি শহরের ওপর। বোমা হামলার পর হিরোশিমা এবং নাগাসাকির আকাশে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে যায়। হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে কত লোক মারা গিয়েছিল, তা মূলত আনুমানিক হিসেব। ধারণা করা হয় হিরোশিমা শহরের সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ কেবল বোমার বিস্ফোরণেই মারা যায়। আর নাগাসাকিতে মারা যায় ৭৪ হাজার মানুষ। কিন্তু পরমাণু বোমার তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়ে পরবর্তী সপ্তাহ, মাস এবং বছরগুলিতে আরও বহু মানুষ মারা গিয়েছিল।এই বোমার শিকার হয়েও যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তারা “হিবাকুশা” বলে পরিচিত। তাদের ভয়ংকর শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে বাকী জীবন বাঁচতে হয়েছে।

Next Post

মৃত্যু কমলেও ২৪ ঘন্টায় বাড়লো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

Fri Aug 6 , 2021
নিউজ ডেস্ক, ৬ আগস্ট : দেশজুড়ে অব্যাহত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর দাপট। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু সংখ্যা কমলেও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৪৩ জন। অন্যদিকে দু’দিনের থেকে কমে মৃতের সংখ্যা ৫০০-র নীচে নেমেছে। গত ২৪ […]

আপনার পছন্দের সংবাদ