চাঁচল, ১৪ জুলাই : প্রায় একসপ্তাহ ধরে খোঁজ মিলছিলো না স্ত্রীর। নিখোঁজ স্ত্রীর সন্ধানে থানায় নিখোঁজের ডায়েরী করেন তার স্বামী। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির ভেতর থেকে পচা দূর্গন্ধ বের হতে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপরেই বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ স্ত্রীর মৃতদেহ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার স্বামীকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচলের স্বরূপগঞ্জে মল্লিকপাড়া বাঁধ এলাকায়
।
পুলিশসুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম কালো বিবি। এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আলির চতুর্থ স্ত্রী কালোবিবি। মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষজন যখন উৎস খুঁজতে শুরু করেন। তখনই বাড়ির পিছনের দেখা যায় কালো বিবির মৃতদেহ।প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,একসপ্তাহ ধরেই তার কোন খোঁজ মিলছিল না। স্ত্রীকে খুনের পরেও সপ্তাহ খানেক নির্বিকার চিত্ত ছিল সে।নিজে রান্নাও করে। মঙ্গলবার ওর বাড়ির আশপাশ থেকে প্রচণ্ড গন্ধ ভেসে আসছিল। তার পর ওকে চেপে ধরতেই সব জানা যায়। স্ত্রীর সঙ্গে মহম্মদের বনিবনা ছিল না বলে দাবী প্রতিবেশীদের। তবে পালানোর আগেই গ্রামবাসীরা তাকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় চাঁচল থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন স্বামী মহম্মদ আলি। গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদকেও। পুলিশের দাবি, মহম্মদ তার চার সঙ্গীকে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধে হয়ে যাওয়ায় কালো বিবির পচাগলা দেহ গর্ত থেকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কল্যাণ বড়ুয়ার উপস্থিতিতে মহম্মদ আলির বাড়ির পিছনের গর্ত থেকে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় কালো বিবির বাবার বাড়ির তরফে চারজনের নামে পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।যদিও হত্যার পিছনে পারিবারিক বিবাদ না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনসুত্রে। যদিও কালিয়াচক কান্ডের ধাঁচে সংঘটিত এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।