হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৪ জুলাই : এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পরে উদ্ধার হল তৃণমূল নেতার মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকার হাতিছাপা গ্রামে।গত রবিবার সকাল বেলায় কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ব্যবসায়ী তথা এলাকায় তৃণমূলের কনভেনার আনেসুর রহমান।
এই ঘটনায় ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশচন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে পরিবারের সদস্যরা।
ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে দাবী করে পরিবারের লোকেরা। কিছুদিন আগেই কালিয়াচকের কিছু লোকের সঙ্গে ইটভাটা ব্যবসার সংক্রান্ত কাজে গণ্ডগোল হয়েছিল।এরপরেই শুক্রবার বিহারের কাঠিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকার রেল লাইনের ধারে শুক্রবার একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিসুর রহমানের মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের সদস্যদের।এরপরেই তারা থানায় যোগাযোগ করে মৃতদেহের শনাক্তকরণ করে। এই ঘটনায় আনেসুর রহমানের ছোট ভাই সাইদুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পান তার দাদার মৃতদেহ বিহার সীমান্তের একটি এলাকায় গাছের সঙ্গে ঝোলানো আছে। তারপরই থানায় যোগাযোগ করে জানা যায় মৃতদেহটি কাঠিহার মেডিকেল কলেজে রাখা আছে। সেখানেই তার দাদার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। দাদার মৃত্যুর পিছনে বড়সড় কোন চক্রের হাত রয়েছে। এর আগে ব্যবসায়িক বিবাদের জেরে দাদাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনের পরিবর্তে সিবিআই দিয়ে মৃত্যুর তদন্তের দাবী জানিয়েছেন তিনি। শনিবার ভোর বেলা ভালুকা হাতি ছাপাগ্রামে বাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়।উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবী মৃতের পরিবারের সদস্যদের।এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সন্ধান করে কঠোর শাস্তি প্রদানেরও দাবী জানিয়েছে তারা।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মকবুল হোসেন জানান, এলাকার তৃণমূল নেতা ব্যবসায়ী আনেসুর রহমানকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক। অপরাধীর শাস্তি না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।তবে আনেসুর রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ প্রশাসন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি আমরা সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছি।
আরও খবর পড়ুন : ব্যবসায়ীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে