মানিকচক , ১৩ আগস্ট : জলের তোড়ে গঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙে বৃহস্পতিবার রাতে প্লাবিত হল মালদার ভূতনি চরের কেশরপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে গঙ্গা সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীগুলি।
দু’কূল ছাপিয়ে তা প্লাবিত করেছে নদী তীরবর্তী এলাকাকেও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রিং বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত শুরু করেছে সেচ দপ্তর। তবে বন্যার আতঙ্কে রাতের ঘুম কার্যত উড়ে গিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। উল্লেখ্য, মালদা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানিকচকের ভূতনি চর। এই এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। প্রতিবছরই এই এলাকার মানুষদের গঙ্গা নদীর ভাঙনের সম্মুখীন হতে হয়। সেচ দপ্তরের কাছে নদী ভাঙনরোধের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়ে আসলেও আজও স্থায়ী সমাধান হয়নি নদীপারের বাসিন্দাদের। ১৯৯৮ সালের ভয়ঙ্কর বন্যার স্মৃতি আজও উজ্জ্বল মানিকচকবাসীর মনে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মালদার ভূতনি চরের কেশরপুর শ্মশান সংলগ্ন এলাকার বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ গঙ্গার জলের তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর ক্রমাগত জল ঢুকতে শুরু করে নদী তীরবর্তী এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে ভূতনি চরের বেশ কিছু এলাকা। জলের তলায় চলে গিয়েছে এলাকার চাষের জমি। এরফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা।
তবে এই বাঁধের পার্শ্ববর্তী আরো একটি অস্থায়ী বাঁধ থাকায় নদীর জল ভূতনি চরের অন্যান্য গ্রামগুলিতে প্রবেশ করতে পারেনি। যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। বাঁধ মেরামত করার পাশাপাশি অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণের স্থায়ী সমাধানের দাবিতেও সরব হয়েছেন তারা। অপরদিকে কোষিঘাটের বাঁধেও শুরু হয়েছে ভাঙন। বন্যা এবং নদী ভাঙনের জোড়া আতঙ্কে রাতের ঘুম কার্যত উড়ে গিয়েছে ভূতনি চরের বাসিন্দাদের। অপরদিকে নদী ভাঙনের খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছেন প্রশাসন এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের কাজ। যদিও এ ব্যাপারে মানিকচক ব্লকের বিডিও জয় আমেদ জানিয়েছেন, বাঁধ ভেঙে এলাকায় জল ঢুকে পড়ায় মানুষেরা সমস্যায় পড়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।