মালদা , ১৩ আগস্ট : মালদার মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন কংগ্রেস এবং নির্দল সদস্যরা। উল্লেখ্য, ২০ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েত তৃণমূল ৬ টি, কংগ্রেস ৫ টি, নির্দল ৮ টি এবং বিজেপি ১ টি আসনে জয়ী হয়। নির্দল সদস্যদের সমর্থনে পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের সদস্য বিউটি বিবি। তবে প্রধানের প্রতি আস্থা না থাকার অভিযোগ তুলে মানিকচক ব্লকের বিডিওর কাছে ৩ জন কংগ্রেস, ৫ জন নির্দল, ২ জন তৃণমূল ও ১ জন বিজেপি সদস্য সহ মোট ১১ জন সদস্য প্রধানের পদ অপসারণের আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূল পরিচালিত মালদার উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২০। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দখলে আসে ৬ টি আসন কংগ্রেস ৫ টি, নির্দল ৮ টি ও ১ টি বিজেপির। নির্দল সদস্যদের সমর্থনে পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। প্রধান হয় তৃনমূল সদস্য বিউটি বিবি ও উপপ্রধান হয় নির্দল সদস্য সমর মন্ডল। তবে প্রধানের প্রতি আস্থা না থাকার অভিযোগ তুলে মানিকচক ব্লক বিডিওর কাছে দুইদিন আগে ১১ জন সদস্য প্রধানের পদ অপসারণের জন্য আবেদন জানিয়েছে। তবে প্রধানকে অপসারণের এই আবেদনে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তৃণমূলের দুই সদস্য। আরে তাই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে গ্রাম পঞ্চায়েত আগামীদিনে দখল রাখা নিয়ে। প্রধানকে অপসারণের আবেদনে ১১ জন সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ৩ জন কংগ্রেস, ৫ জন নির্দল, ২ জন তৃণমূল ও ১ জন বিজেপি সদস্য। এ প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নিরৎপল মন্ডল জানান, দলমত নির্বিশেষে পঞ্চায়েতের সদস্যরা সাধারণ মানুষের কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে আজ একত্রিত হয়েছে। প্রধানের কাজে তারা অসন্তুষ্ট। প্রধান বিউটি বিবির অকর্মণ্যতার কারণে বহু গ্রাম এখনো রাস্তা ও পথবাতি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ঠিকঠাক কাজ করছেন না প্রধান। তাই এই সমস্ত সদস্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে ভালো পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছে। ব্লক কংগ্রেস সমস্ত সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের কাছে দ্রুত অনাস্থা সভার আবেদন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি বিবি জানান, বিজেপি কংগ্রেস নির্দল সদস্যরা একত্রিত হয়ে টাকার লোভে সরাতে চাইছে আমাকে। দলের দুই সদস্য টাকার লোভে বিরোধীদের সাথে এই অনাস্থা করতে চাইছে। পঞ্চায়েতে কোনরকম দুর্নীতির অভিযোগ নেই। সর্বদাই স্বচ্ছতার সাথে সমস্ত সদস্যদের নিয়ে কাজ করেছি। দুঃখের বিষয় শাসক দলের সদস্যরা বিরোধীদের সাথে মিশে পঞ্চায়েত ভাঙতে চাইছে। এই সমস্ত সদস্য দলকে অসম্মানিত করেছে। সমস্ত বিষয় মানিকচক এর বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্রকে জানিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়িকা। যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব অন্ধকারে রয়েছে এমনটাই দাবি উত্তর চন্ডিপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শিশির মন্ডলের। তিনি জানান,দলের বিরুদ্ধে গিয়ে দুই সদস্য বিরোধীদের সঙ্গে মিললো তা জানা নেই। কোন কিছুই জানানো হয়েছিল না এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। পুরো বিষয়টির দলের উর্দ্ধতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন।