নিউজ ডেস্ক, রাহুল বসাক : চাঁদের সঙ্গে আত্মীয়তার শুরু সেই ছোট্টটি থেকে।এর হাত ধরেই পথচলা চাঁদে বাস করার স্বপ্ন।সেই স্বপ্ন সফলে বহু বছর ধরে চাঁদের বুকে পাড়ি জমাচ্ছে দেশ বিদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।কিন্তু বাস করার জন্য তো দরকার বাড়ির।আর বাড়ি বানাতে গেলে লাগে ইট, সিমেন্ট, বালি নানান সরঞ্জাম।
কিন্তু এবারে চাঁদের বাড়ির জন্য বিশেষ ধরনের ইট তৈরি করলো ভারতীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরো ও ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স। মহাকাশ গবেষনায় যা সর্বপ্রথম। এই ইটের নাম দেওয়া হয়েছে “স্পেস ব্রীকস”। এই অভাবনীয় উদ্ভাবন প্রকাশিত হয়েছে দু’টি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালে। একটি, ‘সেরামিক্স ইন্টারন্যাশনাল’। অন্যটি- ‘প্লস ওয়ান’।আইআইএসসি সুত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদ থেকে তুলে আনা মাটি দিয়েই বানানো হয়েছে এই মহাকাশের ইট। তবে এই ইটকে শক্তপোক্ত করে তুলতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আর গুয়ার মটরশুটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর ব্যবহার করা হয়েছে মানব মূত্র থেকে পাওয়া ইউরিয়া। এক পাউন্ড ওজনের এই ইট বর্তমানে চাঁদে নিয়ে যেতে ভারতীয় মুদ্রায় খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে ইটগুলিকে শক্তপোক্ত ভাবে বেঁধে সাজিয়ে রাখার জন্য লাগে সিমেন্ট।এক্ষেত্রে সেই সিমেন্টের কাজটা করবে গুয়ার মটরশুটি। এই বিশেষ প্রজাতির মটরশুটির ক্ষমতা অনেকটা গদের আঠার মতো। বা তার চেয়েও অনেক গুণ বেশি। আগামীতে এমন ধরনের ইট পৃথিবীতেও ব্যবহার করা যাবে বলে দাবী মহাকাশ গবেষকদের।
মহাকাশের ইটগুলির আকার কী ভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।পাশাপাশি চাঁদে ঘন ঘন হওয়া কম্পনের ধাক্কা সামলাতে ইটটির প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন ………..বাস টু লন্ডন