নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২০ ফেব্রুয়ারি : রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার ল্যাবের ভেতর ঐ বিভাগেরই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো শুক্রবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ঐ ব্যাক্তির নাম সুধীর সরকার।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সুধীর বাবু আত্মহত্যা করেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে সম্প্রতি ভোটের ডিউটির চিঠি আসার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সে কারনেই এই ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। খবর পেয়ে রাতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সুধীর সরকারের গতকালই বিধানসভা ভোটের থার্ড পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপত্র আসে। তারপর থকেই হাই সুগারের রোগী সুধীর সরকার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সুধীর বাবুর ছেলে শুভঙ্কর সরকার জানান, ভোটের ডিউটির কাগজ আসার পর থেকে খুব টেনশনে ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বেলা ১০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের কর্মস্থলে আসেন। কিন্তু রাত্রি আটটা বাজলেও বাড়ি ফিরে না আসায় ছেলে শুভঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিতে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীকে সাথে নিয়ে সেরি ল্যাবে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা এবং ঘরে আলো জ্বলছে। ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান ঘরের সিলিংএর সাথে লোহার হুক লাগিয়ে তার সাথে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছেন সুধীর সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী তপন নাগ জানিয়েছেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। ভোটের ডিউটি আসার পর থেকেই টেনশনে ছিলেন তিনি। দু-একজনকে নাম কাটাবার জন্য বলেও ছিলেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী তাঁর ট্রেনিং ছিল। তার আগেই মানসিক অবসাদে ভুগে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তিনি। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সুধীর সরকারের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী মহলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।