নিউজ ডেস্ক, ২১ জুন : ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় আদালতে অস্বস্তিতে রাজ্য। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
অর্থাৎ ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপর গুরু দায়িত্বের যে নির্দেশ আদালত দিয়েছিল তা বহাল রইল।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্যে গত ১৮ই জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করলে রাজ্যের তাতে কিসের এত আপত্তি, সেটাও এদিন জানতে চায় আদালত।রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই একটি মামলা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে এন্টালি বিধানসভা এলাকার বহু ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ফেরায় পুলিশ। হাইকোর্টের তরফে তখনই, সময় ঘরছাড়াদের ফেরাতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই কমিটিতে জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সদস্যরা শামিল ছিলেন। সরাসরি যাতে ওই কমিটির কাছে অভিযোগ পৌঁছয়, তার জন্য একটি ইমেল আইডি-ও চালু করা হয়। তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ২৪৩টি অভিযোগ জমা পড়ে। আর সেই মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। নির্দেশে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে মানবাধিকার কমিশন ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে আদালতকে। এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রবিবার আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। আর্জি ছিল, এখনই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে না জড়িয়ে রাজ্যকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।