নিউজ ডেস্ক , ইসলামপুর , ০৯ অক্টোবর : পুজোর আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকদিন বাকি। অন্যান্য বছর রথযাত্রার পরের দিন খুঁটি পুজোর মাধ্যমে শুরূ হয়ে যায় বাঙালির দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। ব্যস্ততা চরমে ওঠে পুজো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু করোনার থাবায় এবছর পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। মহালয়ার পরবর্তী সময়েও ব্যস্ততা নেই পুজো উদ্দ্যোক্তাদের। এবছর করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন আলোক এবং সাউন্ড বক্স ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের ফলে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে চারিদিকে।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণের নিরিখে ব্রাজিল কে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। সংক্রমণে লাগাম টানতে চলছে লকডাউন। পাশাপাশি আমফানে বিপর্যস্ত গোটা বাংলা। এছাড়াও দীর্ঘ বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে বহু মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব কিভাবে করা হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন শিল্পীরা। ইসলামপুরের একজন আলোক সরবরাহকারী ব্যবসায়ী বলেন, “লকডাউনে সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সারা বছর পুজোর মরসুমে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখি আমরা। কিন্তু এবছর কোন অনুষ্ঠান হয়নি, পাশাপাশি দুর্গাপূজা হলেও আড়ম্বরহীন ভাবে পালন করা হবে। পুজোয় কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতাম। আমাদের লাইট এবং লাইটের বিভিন্ন সরঞ্জাম উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যেত। পাশাপাশি দুর্গাপূজাতে সাউন্ড বক্সও পৌঁছে যেত ইসলামপুর তথা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু এবছর কোন পুজো উদ্দ্যোক্তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি, আদেও করবে কিনা তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানায় নি কেউ। এ পরিস্থিতিতে সংসার চালানোই রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাছাড়া আমাদের এই শিল্পের সাথে অনেক শ্রমিক যুক্ত, তাদের পরিস্থিতি আরো শোচনীয়।” পুজোর আগে অন্যান্য বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বরাত পেলেও এবছর করোনার আবহে তেমন কোন অনুষ্ঠান না হওয়ায় অর্ডার পাচ্ছেন না শিল্পীরা। ফলে চরম আর্থিক সংকটে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ী এবং শিল্পীদের।