মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও বন্ধ হয়নি বেআইনি ভাবে নদী থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন এবং পাচার। এখনো ডুয়ার্সের একাধিক নদী থেকে দিয়ে দেদার বেআইনিভাবে পুলিশের নাকের ডগায় বালি ও পাথর উত্তোলন করে পাচার।
বানারহাট ব্লকের অন্তর্গত নোনাই, রাঙ্গাতি , আংরাভাসা নদী ধূপগুড়ি ব্লকের গেলান্দি , ডুডুয়া এমনকি ময়নাগুড়ি ব্লকের ধারলা জর্দা নদী ব্রহ্মপুর সহ ক্রান্তি এলাকার নেওরা নদী এবং মালবাজারের চেল নদী , ঘিস নদী থেকে বেআইনি ভাবে উত্তোলন চলেছে বালি পাথর। দিনে দুপুরে রাতের অন্ধকারে চলছে পাচার।
অনুমতি ছাড়াই স্কুল চত্বরে বেশ কয়েকটি গাছ কাটার অভিযোগ
বিরোধীদের অভিযোগ শাসক দলের নেতাদের এবং পুলিশের একাংশের যোগসাজশে এই বালি পাথর পাচার চলছে বুক চিতিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আরো একবার জোরালো হয়ে গেলো। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরাসরি তোপ দাগেন নিচু তলার পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে। পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ টাকা খেয়ে বালি পাচার পাথর পাচারে মদত দিচ্ছে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এর থেকেই শিলমোহর পড়লো বলেই মনে করছে আমজনতা।
মুক্তি পাচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে নির্মিত ছবি ‘সুকন্যা’
বিশেষকরে ধূপগুড়ি, বানারহাট ময়নাগুড়ি এবং মালবাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি বালি পাথর পাচার হয়। ভোর পাঁচটা থেকে রাতভর বালি পাচার চলে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চল ডায়না এবং কারবালা সেই জঙ্গলের মাঝে থাকা নদী থেকেও বেআইনি ভাবে বালি উত্তোলন চলছে। কুচি ডায়না নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলন করে সেগুলিকে রাতের বেলা বের করা হয় ট্রাক্টর এর সাহায্যে ট্রলিতে করে।
জাতীয় স্তরে বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনীতে সেরা রায়গঞ্জের ছেলে
ঠিক একইভাবে বানারহাট বিডিও অফিসের সামনে দিয়ে একেবারে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রেতি এবং কারবালার মাঝখান দিয়ে বের হয় সেই বালি বোঝাই ট্রলি।তাই বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী আবারো বলেছেন যে সমস্ত বালি পাথর খাদান রয়েছে সেগুলি সরকারিভাবে ভূমি সংস্কার দপ্তর নিলাম করে দিক। তাতে যেমন বেআইনি ভাবে বালি পাচার কিছুটা হলেও রোধ হবে তেমনি সরকারি রাজস্ব ও আদায় হবে।