নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ১০ জানুয়ারী : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠলো বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিডিওর কাছে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই উপভোক্তা। ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়গড়ি এলাকায়।
এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা ওরাওঁকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য লালু ওরাওঁ
তিনকিস্তিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।উর্মিলা দেবীর স্বামী ভিন রাজ্যে কর্মরত।তিনি নিজেও দিনমজুরের কাজ করে জীবন নির্বাহ করেন। টাকা না দিলে আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর না দেওয়ার হুমকীও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় টাকা ফেরতের দাবীতে লালু ওরাওঁয়ের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর ১নম্বর ব্লক বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপভোক্তা উর্মিলা ওরাওঁ।অভিযোগকারী উর্মিলা ওরাওঁ জানিয়েছেন, ঘর পাওয়ার জন্য সরকারি অফিসারদের টাকা দিতে হবে, এই বলে ভুল বুঝিয়ে লালু ওরাওঁ তিন কিস্তিতে মোট কুড়ি হাজার টাকা নেয়।টাকা না দিলে ঘর পাওয়া যাবে না এমন হুমকীও দেয় সে। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলে। ফলে সুবিচারের দাবীতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিডিও সব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু। অনির্বাণবাবু জানান, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার।সরকারি প্রকল্পের সুবিধালাভে কোন টাকা দিতে হয় না।কোনকিছু জানবার হলে সরাসরি ব্লক অফিসে এসে জেনে যেতে হবে।অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য লালু ওরাওঁ। তাকে ফাঁসাতেই তৃণমূল কংগ্রেস এই চক্রান্ত করেছে বলে দাবী করেছেন তিনি।