নিউজ ডেস্ক : তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাট কলেজে। ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এই ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু পরিস্থিতি সামাল দিতে ছাত্র ইউনিয়নের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রশ্ন উঠছে শিক্ষাঙ্গণে এই ধরনের গন্ডগোল কেনে হবে? এতে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট কলেজে। প্রথমে রক্তাক্ত হয় এক কলেজ পড়ুয়া। পরে ওই পড়ুয়ার পালটা মারে আহত হয় তৃণমুল ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিটের সহ- সভাপতি সহ মোট পাচজন সদস্য। এদিন দুপুরে এহেন ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় বালুরঘাট কলেজ। কলেজের মূল গেটের পাশেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ওই কলেজ পড়ুয়ারা৷ এমনকি বাঁশ হাতেও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় তাদের৷
বর্ষার মরশুমে রায়গঞ্জে কুলিক নদীর বাঁধের অবস্থা বেহাল
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘর ছেড়ে বাইরে আসেন বালুরঘাট কলেজের প্রিন্সিপাল পঙ্কজ কুন্ডু৷ তিনিই এসেই গোলমাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়নের ঘর থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। আহতরা সকলেই তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এনিয়ে বালুরঘাট থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুন্ডু কী জানিয়েছেন শুনুন।
চোপড়া কান্ডে প্রতিক্রিয়া এলাকাবাসীর
যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যুক্ত নেই বলেই জানানো হয়েছে। ২ রা জুলাই তৃতীয় বর্ষের অর্থাৎ ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষার শেষ দিন ছিল। বালুরঘাট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল হিলি গভর্মেন্ট কলেজে। হিলি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে ট্রেকারে চেপে বাড়ি ফেরার পথে সিট নিয়ে এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের সাথে তৃণমূল পরিষদ ছাত্র পরিষদের একদল সমর্থকের গোলমাল বাধে। তাদের মধ্যে বিস্তর কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরেই এদিন কলেজে ওই পড়ুয়া এলে তৃণমুল ছাত্র পরিষদের হামলার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।