নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা ,২৫ মার্চ: এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।বৃ্হস্পতিবার ভোরবেলা অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার আইহো অঞ্চলের চাঁদপাড়া এলাকায়।পুলিশ ও স্থানীয়সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম অঞ্জনা দাস।
তার স্বামী শঙ্কর দাস ও জা ববিতা দাসের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকী তাকে নানা কারণে মারধোর করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা। এরপরেই বৃ্হস্পতিবার ভোরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু সংবাদ পান পরিবারের সদস্যরা। বাথরুমের মধ্যে থেকে তার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।এমনকী তার শোয়ার ঘর থেকে মুগুর, শীলনোড়া উদ্ধার করা হয়। ওই গৃহবধূকে ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘার করে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে হবিবপুর থানার পুলিশ এসে ওই গৃহবধূর মৃতদেহটি উদ্ধার করে প্রথমে বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে ময়না-তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।গৃহবধুর দিদি চন্দনা সিংহ জানিয়েছেন, বৃ্হস্পতিবার ভোরে শ্বশুরবাড়ি থেকে অঞ্জনার মৃত্যুসংবাদ জানিয়ে ফোন আসে। আমরা তড়িঘড়ি করে আসি। তাদের শোবার ঘরে দেখতে পাই শীলনোড়া, মুগুর পড়ে রয়েছে। বোনকে আগে মারধোর করা হয়েছে। পরে তাকে বাথরুমে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মূলত তার স্বামী ও জায়ের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করাতেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ চন্দনা সিংহের।অন্যদিকে গৃহবধূর দাদা নারুগোপাল সিংহ জানিয়েছেন, বোনকে বহুদিন ধরেই মারধোর করত তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বোনের স্বামী শঙ্কর দাস, ভাসুর ভানু দাস, জা ববিতা দাসের নামে হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অন্যদিকে তার দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী, ভাসুর ও জাকে আটক করেছে পুলিশ।