নিউজ ডেস্ক , ০৬ এপ্রিল : মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ। তিনটি জেলার মোট ৩১টি আসনে হবে ভোট। দক্ষিণ ২৪ পরগণার মোট ষোলোটি আসনে, হাওড়ার সাতটি আসনে এবং হুগলিতে আটটি আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে গন্ডগোলের খবর আসছে। এরই মাঝে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।
উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ইভিএম মেশিন এবং চারটি ভিভিপ্যাট। অভিযুক্ত সেক্টর অফিসারকে সাসপেন্ড করল কমিশন। ঘটনার জেরে বিডিও এবং নিরাপত্তারক্ষীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা।তৃতীয় দফার ভোটের আগের দিন রাত হতেই উলুবেড়িয়ার তুলসিবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসে ঢোকে চারটি ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের সেট। নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সেগুলো বুথে না নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
গভীর রাতে কমিশনের গাড়িতেই ওই ইভিএমগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সেক্টর অফিসারের বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কেন্দ্রীয়বাহিনী এবং পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। পরে ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত সেক্ট অফিসার তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, তিনি যখন বিভিন্ন বুথে ইভিএম ডেলিভারি করে সেক্টর অফিসে ফিরে যায়, সেখানে তাঁদের জন্যে কোনোও থাকার ব্যবস্থা ছিল না। সমস্ত ঘর কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পোলিং অফিসারদের দখলে চলে গিয়েছিল। তাঁর দাবী, তিনি বারবার ডেকেও কোনো সাড়া পান নি৷ এরপরই তিনি এবং তাঁর দুই সহকারী গৌতম ঘোষের বাড়ীতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এও জানান যে, তাঁর সাথে তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সাথে ইভিএম নিয়ে যাওয়া অবশ্যই তাঁর অন্যায় হয়েছে। যদিও সেগুলো রিজার্ভ ইভিএম ছিল বলে জানান সেক্টর অফিসার।অভিযুক্ত সেক্টর অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর পরিবর্তে নয়া সেক্টর অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ওই চারটি ইভিএম রিজার্ভ ছিল। সেগুলি আর ব্যবহার করা হবে না।