ডিজিটাল ডেস্ক – যেকোনো রান্নায় নুন, মিষ্টি, ঝাল সব ধরনের স্বাদের সঠিক মেলবন্ধন প্রয়োজন। অনেকেই খাবার খেতে বসে লবণের স্বাদ ঠিকভাবে অনুভব করেন না। তাই খাবারের পাতে কাঁচা লবণ খাওয়া তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু জানেন কি খাবারের পাতে এই অতিরিক্ত লবণ আপনার শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর? আসলে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনন্দিন লবণের চাহিদা কখনোই 6 গ্রামের বেশি হবে না।
অন্যদিকে এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের দৈনন্দিন লবণ গ্রহণের পরিমাণ কখনোই ২ গ্রামের বেশি হবে না। আবার তিন থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের দৈনন্দিন লবণ গ্রহণের পরিমাণ তিন গ্রামের মধ্যে হওয়া উচিত।একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনন্দিন যে 6 গ্রাম লবণ এর কথা বলা হয়েছে তার পরিমাণ 1 চা চামচ। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন সব ধরনের খাবার একত্রে আপনার লবণ গ্রহণের পরিমাণ 6 গ্রাম বা ১ চা চামচের বেশি কখনোই হওয়া উচিত নয়।
কিন্তু এতে সমস্যা টা কোথায়? চিকিৎসকেরা বলছেন, লবণ যেমন আমাদের শরীরে আয়োডিন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে, তেমনি মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়া ডেকে আনতে পারে নানান শারীরিক সমস্যা। প্রথমেই যে সমস্যার কথা চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, তা হল উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার। অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত লবন খাওয়া আপনার শরীরে রক্ত কোষ, মুখের স্বাদ কোরক, এমনকি কিডনির উপরেও ভিষণ প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকেরা আরো সতর্ক করে বলেছেন, অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রার হেরফের হতে পারে, যা ডেকে আনতে পারে হাড় ক্ষয় জনিত রোগের মত সমস্যা।
অনেকেই স্বাদ বা বদ অভ্যাসের কারণে খেতে বসে খাবারের পাতে অতিরিক্ত লবণ খান। যা কিন্তু বিপদ সংকেত! তাই যারাই এই বদ অভ্যাস -এর সাথে জড়িত রয়েছেন, আজ থেকেই ত্যাগ করুন এই বদ অভ্যাস। প্রথমে রান্নায় নুন ব্যবহারের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন। শুধু তাই নয় খাবারের পাতে বাড়ির কোন সদস্য নুন খেতে চাইলে তাকে বারণ করুন। প্রয়োজনে খাবারের টেবিলের লবণদানি সরিয়ে ফেলুন। যদি কোন ভাবেই অতিরিক্ত লবন খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তবে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।