ডিজিটাল ডেস্ক – গত মার্চ মাস থেকে দেশে চলছে লক ডাউন ও আনলকের দুর্বোধ্য খেলা। কিন্তু বিন্দুমাত্র কমেনি করোনার প্রকোপ। দেশবাসী শুধুই দেখছে করোনা সংক্রমণের উর্দ্ধগতি। দীর্ঘ লকডাউনের পর্ব ও পরবর্তীতে আনলক প্রক্রিয়া। এসব নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেও সংক্রমণ থামার কোনা লক্ষনই নেই।
এই অবস্থায় দেশের নাগরিকদের উপর ক্রমশই বাড়ছে স্নায়ুর চাপ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা আবহে ৪৩ শতাংশ ভারতীয় হয়েছেন হতাশার শিকার। ‘গোকি’ নামে একটি স্মার্ট-টেক-এনাবেলড প্রিভেনটিভ হেল্থকেয়ার প্লাটফর্ম-এর তরফে কলকাতাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ১০ হাজার ভারতীয়র ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আর তাতেই উঠে এসেছে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২৬ শতাংশ মানুষ সামান্য হতাশায় ভুগছেন, ১১ শতাংশ মানুষ মাঝারি এবং ৬ শতাংশের মধ্যে তীব্র হতাশার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত পাঁচ মাস মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে একটা অপ্রত্যাশিত বদল এসেছিল। লকডাউন পরিস্থিতি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে। লকডাউন, উদ্বেগ, চাকরি হারানো, শরীর-স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভয় এবং সামগ্রিক অস্থির পরিবেশের কারণে মানুষের স্ট্রেসের স্তর মারাত্মক আকার ধারন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সঙ্গে লড়াই করতে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তাঁর ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে মানসিক উদ্বেগ আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অত্যাধিক মাত্রায় হতাশা আমাদের বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।
উল্লেখ্য, এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, তীব্র মানসিক চাপ মানুষকে হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। দীর্ঘদিনের লকডাউন পরিস্থিতি, জীবনযাত্রার বদলের জেরে ৪৩ শতাংশ মানুষ হতাশার শিকার এবং হতাশার সঙ্গে লাগাতার লড়াই করে চলেছেন। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে, ৫৯ শতাংশেরও বেশি মানুষ বলেছেন যে, তাঁরা এই দিনগুলিতে কিছুটা হলেও আনন্দ করতে পেরেছেন। ৩৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এই সময়ে মাত্র কিছু দিনের জন্য কিছুটা ভাল অনুভূতি হয়েছে তাঁদের, আর ৫৭ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতারা জানিয়েছেন তাঁদের এই সময়ে ক্লান্ত বোধ করছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি।