নিউজ ডেস্ক,৭ফেব্রুয়ারিঃরায়গঞ্জের স্টেশন বাজারের স্থান পরিবর্তন ঘিরে দোলাচলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। পৌরসভা ও প্রশাসনের নির্দেশে রাস্তা থেকে সরে উপরে উঠে গেলেও এবারে রেলের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন তারা। যার জেরে অনিশ্চিয়তায় ব্যবসায়ীদের রুজি-রুটি। প্রসঙ্গতঃ পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরের যান জট মেটাতে গত কিছুদিন আগে পৌরসভা, পুলিশ ও প্রশাসন যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় স্টেশন সংলগ্ন স্থানে রাস্তার উপর থেকে বাজার তুলে দেওয়ার। সেক্ষেত্রে শুরু থেকেই পুনর্বাসনের দাবী জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তার পরিবর্তে মঙ্গলবার থেকে তা লাগু করার ঘোষনা করা হয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল সকাল রায়গঞ্জ পৌরসভা ও প্রশাসন পুলিশকে সাথে নিয়ে বাজারে পৌছয়। তারা মানবিক স্বার্থে ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে রাস্তা থেকে বাজার সরিয়ে পাশেই রেলেরই উঁচু জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু তারপরই ঘটে বিপত্তি। রেলের পক্ষ থেকে সেই স্থানে বাজার বসার ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হয়। রেলের পক্ষ থেকে আর পি এফের হেড কনস্টেবল রাম অবতার শা এসে তাদের সরে যেতে বলেন। এরপরই সামান্য উত্তেজনা তৈরী হয়। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পৌরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার সহ কো-অর্ডিনেটররা এর প্রতিবাদ জানান। শুরু হয় বাক-বিতন্ডা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেউ ৫ বছর কেউ ৭ বছর ধরে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখানে এসে ব্যবসা করছেন। এর উপরে গোটা পরিবার নির্ভর করে থাকে। এই মুহূর্তে তাদের একেবারে উচ্ছেদ করে দিলে না খেয়ে মরতে হবে। পৌরসভা ও প্রশাসন তাদের কিছুটা সরে বসতে বলায় তারা খুশী কিন্তু তারপর আবার রেলের আপত্তিতে এখন নতুন করে সংশয় তৈরী হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধানের দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারন ক্রেতারা। এখান থেকে বাজার একেবারে উঠে গেলে সমস্যায় পরতে হবে বলে দাবী সাধারণ মানুষের
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রেলের প্রতি যথেষ্ট অসন্তোষ ব্যক্ত করেন রায়গঞ্জের পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন শহরে যানজট মেটাতে চালু হয়েছে ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক সিস্টেম। যার সাথে সাযুজ্য রেখে এই বাজার রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জন স্বার্থে। যেখানে সর্বত্রই রেলের জায়গায় বাজার বসে। সেখানে রায়গঞ্জে রাস্তা থেকে কিছুটা সরে গিয়ে বাজার বসলে সমস্যা কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সন্দীপ বাবু।
অন্যদিকে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি বলেন, ব্যবসায়ীদের সরে বসার অনুরোধ করা হলে তারা সহমত পোষন করেছেন। এখন রেল বাধা দিলে আগামীতে বসে আলোচনা করা হবে।যদিও রেলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে নারাজ আর পি এফের হেড কনস্টেবল রাম অবতার শা।এখন কতদিনে এই দোলাচলের সংশয়ে ব্যবসায়ীদের থাকতে হয় সেটাই দেখার।