নিউজ ডেস্ক : এক মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার শ্রীধর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই আদিবাসী মহিলার নাম লক্ষ্মী হেমব্রম (৫০) ৷ তার বাড়ি পতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীধর গ্রামে। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তার গলা কাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইটাহার থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃতার ছেলে লক্ষ্মণ মার্ডি জানিয়েছেন, রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়ার পর মা হয়ত বাইরে বের হয়েছিল।
আরও পড়ুন – অভিভাবকদের সহায়তায় পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে মানবিক উদ্যোগ
তারপরেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। সকালে উঠে দেখা যায় মায়ের গলাকাটা দেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির কাছেই। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ তবে ডিজিটাল যুগে যেখানে শিক্ষার আলো সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছে সেখানে আদিবাসী সমাজে সচেতনতার অভাবে কুসংস্কার এখনও বিদ্যমান। ডাইনি অপবাদ দিয়ে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন – দুঃসাহসীক চুরির ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ শহরে