মহাভারত অনুযায়ী সাপের জীভ কেন চেরা, জানেন?

মহাভারত অনুযায়ী সাপের জীভ কেন চেরা, জানেন?

নিউজ ডেস্ক :  সাপকে ভয় পায় না এমন লোক কমই আছে পৃথিবীতে। এই সরীসৃপ টিকে দেখলেই সারা শরীরে শিরশিরানি জেগে ওঠে। সিনেমা বা টিভি সিরিয়ালে সাপকে নিয়ে কিংবদন্তির শেষ নেই। সাপের কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্য অনেকে মনসা পূজাও করলেন। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি সাপের জীভ চেরা হয় কেন? মহাভারতে কিন্তু এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। চলুন দেখে নেই কীকারনে সাপের জীভ চেরা?

ছবি – ইন্টারনেট

মহাভারত অনুযায়ী ঋষি কাশ্যপের তেরো জন স্ত্রীর মধ্যে অন্যতম কদ্রু। তিনি কাশ্যপের কাছে ১ হাজার নাগ-সন্তান প্রার্থনা করে বসেন। কাশ্যপের অপর স্ত্রী বিনতাও বর চাইলেন, তবে মাত্র দু’টি সন্তানের। কিন্তু শর্ত দিলেন, তার দুই সন্তান যেন কদ্রুর সন্তানদের থেকে বলশালী হয়।
কদ্রু জন্ম দেন ১ হাজার সাপের। আর।বিনতার দুই সন্তানের একজন গরুড়। অমৃত মন্থনের সময়ে যখন উচ্চৈশ্রবা নামের ঘোড়া উঠে এসেছিলো তখন কদ্রু ও বিনতার মধ্যে বাজি হয় ঘোড়ার লেজের রং নিয়ে। কদ্রু বলেন, সাপটির লেজ কালো। বিনতা বলেন, সাদা। ঠিক হয় যে বাজিতে হারবে, সে অন্যের দাসী হয়ে থাকবে। কদ্রু তাঁর সন্তানদের বলেন, উচ্চৈশ্রবার লেজকে ঢেকে রাখতে, যাতে তা কালোই দেখায়। সর্প-পুত্রেরা তাই করেন। বাজিতে হেরে বিনতা কদ্রুর দাসী হন। এদিকে মায়ের দুঃখে কাতর গরুর উপায় খুঁজছিলো মাকে মুক্ত করতে। সেসময় সর্প পুত্ররা বলে অমৃত নিয়ে আসতে পারলে বিনতা মুক্তি পাবে।
গরুড় অনেক কষ্ট করে অমৃত নিয়ে আসেন। তবে শর্ত দেন স্নান করে পবিত্র হয়েই অমৃত গ্রহণ করা যাবে। ততক্ষণ অমৃতের পাত্র রাখা থাকবে কুশ (তীক্ষ্ণ ধারবিশিষ্ট ঘাস) নির্মিত আসনের উপরে।
স্নানশেষে ফিরে সাপেরা দেখল, অমৃত নেই। কৌশলে অমৃত নিয়ে চলে যান ইন্দ্রদেব। কারন সাপেরা অমৃত পেয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হতো দেবকূলকে। হতাশ হয়ে সাপেরা কুশ-আসনটিই চাটতে লাগল। আর তার ফলেই তার জিভ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। সেই থেকেই সাপের জীভ চেরা। যদিও বিজ্ঞান বলছে সাপের কোনো ঘ্রানগ্রন্থি নেই। চেরা জীভ দিয়েই সাপ ঘ্রান নেয়। তবে চেরা জীভ নিয়ে বিজ্ঞান যুক্তির পাশাপাশি মহাভারতের এই কিংবদন্তি ও কিন্তু সমান জনপ্রিয়।

 

আরও পড়ুন …………রাস্তা নিয়ে বিবাদে চললো গুলি, উত্তেজনা চাঁচলে

Next Post

থানার অন্দরমহল থেকে ব্রিটিশ আমলের নথি উদ্ধার ও সি-র

Mon Aug 17 , 2020
নিজস্ব সংবাদদাতা  , ইটাহার :   ইটাহার থানায় ১০০ বছরের পুরোনো নথি উদ্ধার করে ইতিহাসপ্রেমী মানুষের মনে আবেগের ঝড় তুললেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিজিৎ দত্ত। ১৯২০ সালে তৎকালীন বঙ্গদেশে পুলিশ সুপারকে নিজের হাতে লেখা ডি আই জির চিঠি,১৯২৫ সালে প্রকাশিত ইম্পেরিয়াল পুলিশের “বঙ্গপ্রদেশের ডাকাত দলের ইতিবৃত্ত […]

আপনার পছন্দের সংবাদ