রতুয়া, ১৫ জুলাই : প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের সদস্যরা অনাস্থা আনলেও তাতে বাঁধ সেধেছে দলেরই একাংশ। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্লকের বিডিওকে অনাস্থা সভা ডাকার জন্য লিখিত অনুরোধ করেন বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার রতুয়ার সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতে।
যদিও দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান শ্রবণ কুমার দাস। তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে আগে দলকে জানাতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস, পাঁচটি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস এবং তিনটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। যদিও পরবর্তীতে কংগ্রেসের ৫ জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭। অপরদিকে একজন বিজেপির সদস্য মারা যাওয়ায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা হয়ে দাড়ায় ২ জন। প্রধান নির্বাচিত হন শ্রবণ কুমার দাস। তবে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনলেন দলেরই ১০ জন সদস্য। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে দলকে জানাতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে অনাস্থা ডাকা যাবে না। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান শ্রবণ কুমার দাস।
আরও খবর পড়ুন : নদী ভাঙ্গনের ফলে বাসস্থানহীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছে গ্রামের তিনশো পরিবারের