নিউজ ডেস্ক , ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশান। আর পাঁচটা ছবির মতই শুরু হয়েছিল পথচলা। এবারে আন্তর্জাতিক খেতাব অর্জন করল রায়গঞ্জ থেকে শুরু হওয়া সেই নতুন বাংলা ছবি “জয়ী”।
সম্প্রতি গ্যাংটক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে ২-২টি বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ৩টি জীবনের বেঁচে থাকার কহিনী বর্নিত এই ছবি। যাকে ঘিরে আপ্লুত ছবির প্রযোজক থেকে টেকনিশিয়ান সকলেই। একদিকে যখন দর্শকদের মন জয় করতে একরাশ আশায় বুক বেঁধে নতুন বাংলা ছবি “কলকাতা চার” উপহার দিতে যাচ্ছেন রায়গঞ্জের প্রযোজক ও পরিচালক। তখন অন্যদিকে আন্তর্জাতিক খেতাব অর্জন করল রায়গঞ্জের বুক থেকে শুরু হওয়া অপর এক পূর্ণদৈর্ঘ্যের বাংলা ছবি “জয়ী”। নামেই অন্তর্নিহিত রয়েছে ছবির সাফল্যের সার্থকতা। তা অবশ্য বলাই বাহুল্য। “জয়ী” জয় করেছে দুটি অান্তর্জাতিক পুরস্কার।
ছবির সাফল্য নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জে সাংবাদিক বৈঠক করেন এই ছবির প্রযোজক গোপাল চন্দ্র অধিকারি। গোপাল বাবু বলেন, সম্প্রতি সিকিমের গ্যাংটক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয় এই ছবি। আর সেখানই বিচারকদের মন জয় করে “জয়ী”-র কাহিনী। ঐ চলচ্চিত্র উৎসবেই সেরা প্রযোজক ও সেরা ছবি এবং ডিসঅ্যাবিলিটি ইস্যু পুরস্কারে ভূষিত হয় এই ছবি। যাকে ঘিরে আপ্লুত গোপাল বাবু। তিনি বলেন এই ছবিতে চারটি গল্প ছিল। তিনটি গল্পকে একটি গল্পের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি গল্পেই ছিল সামাজিক সচেতনতার বার্তা। যেমন বাল্যবিবাহ বন্ধ, নারী শিক্ষার পরিব্যাপ্তি, স্পেশাল চাইল্ডদের ট্রিটমেন্ট সহ একাধিক বিষয়। রায়গঞ্জ, ইটাহার, দার্জিলিং, দুধিয়া, রানীগঞ্জ, কলকাতা উত্তরপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে ইনডোর ও আউটডোর শ্যুট। প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন উদীয়মান অভিনেতা অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন এই ছবিতে।
তবে প্রথম সারির অভিনেতা বলতে ছবিতে অভিনয় করেছেন টলিপাড়ার বিশ্বনাথ বসু এবং মধ্যপ্রদেশের অভিনেতা সঞ্জয় মহানন্দ। ছবির বাজেট মোটামুটি ৩০ লক্ষ টাকা। তিনটি জীবনের বেঁচে থাকার লড়াইকে সুচারুভাবে এই ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক দেবব্রত ভৌমিক। এদিন তাকেও ধন্যবাদ জানান ছবির প্রযোজক। আগামীতে প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি রিলিজের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালবাবু। এই ছবির সঙ্গীতে কাজ করেছে দি রায়গঞ্জ রকার্স। ছবির অভিনেতা তথা সংগীতশিল্পী তানাজি দাস বলেন, এই ছবিতে গল্প অনুযায়ী ট্রাডিশনাল মিউজিক প্রয়োগ করা হয়েছে। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে নিয়েই ছবির গান গুলি তৈরি করা হয়েছে। অবশেষে এমন সাফল্য আশায় যারপরনাই খুশি তারাও। বর্তমানে একদিকে যখন বাংলা সিনেমা খানিকটা মুষরে পড়েছে তখন সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জয়ের শিখরে ওঠা জয়ী আর কতগুলো পুরস্কার ছিনিয়ে আনতে পারে সেদিকেই তাকিয়ে সিনেপ্রেমীরা।