নিউজ ডেস্ক : শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এন আর ই জি এস প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন কাজের বাস্তবায়ন ও বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয় ঘিরে তৈরী হয় চাপানউতোর। বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দূর্নীতি ইস্যুতে ক্ষোভ বিক্ষোভে সামিল হন সাধারন মানুষ। বিশেষ করে পুকুর খনন ও বনসৃজন প্রকল্পে এই অভিযোগ সবচেয়ে বেশী। সেই অনুযায়ী অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে পরিদর্শনে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন পাচারের আগেই শিলিগুড়ি মোড়ে উদ্ধার কচ্ছপ, ধৃত ২
শনিবার আমরা দেখিয়েছিলাম ইটাহার ব্লকের একাধিক গ্রামে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। রবিবার তারা উপস্থিত হন রায়গঞ্জ ব্লকে। প্রথমেই রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি (২) নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন একাধিক সংসদে ঘোরেন তারা। কোন কোন পুকুর ১০০ দিনের প্রকল্পে আওতায় খনন হয়েছে। কত শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের পারিশ্রমিকের ব্যয় বরাদ্দ খতিয়ে দেখা হয়। একই ভাবে বনসৃজনের ক্ষেত্রেও নজরদারী চালানো হয়। এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন চলাকালীন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দূর্নীতি ইস্যুতে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাদের অভিযোগ ১০০ দিনের প্রকল্পে এখানে সেভাবে কাজই হয়নি। পুকুর খনন কার্যে জেসিবি ব্যবহৃত হয়েছে। শ্রমিকরা যেটুকু কাজ করেছে তার পারিশ্রমিক পাননি। গাছ নিয়েও আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তারা। এর যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন অভিযোগকারিরা।
আরও পড়ুন ১০০ দিনের মামলায় অর্থ ফেরতের নির্দেশ আদালতের
এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। যদিও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আমরা কথা বলেছিলাম কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সাথে। তারা সেভাবে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি। সমস্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন সমাজ সেবামূলক কাজে খেতাব জয় রায়গঞ্জের সমাজকর্মীর
এদিন কেন্দ্রীয় দলের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিডিও শুভজিৎ মন্ডল সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বিডিও জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদে ঘুরছেন। ১০০ দিনের পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন বিডিও। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ পত্র পঞ্চায়েতে জমা দিলে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।