নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২৩ মার্চ : “নো ব্রীজ নো ভোট”, মূলত এই দাবিকে সামনে রেখেই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালো বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায় নদীর উপর সেতু তৈরি নিয়ে শুধুই হয় রাজনীতি।
তাই এবার সেতু না হলে রাজ্য বিধানসভা ভোট বয়কটের ডাক দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ নম্বর শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটের বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী। এই কুলিক নদীর দুইপাড়ে রয়েছে শেরপুর, গোবিন্দপুর, লাইনপাড়া সহ প্রায় তিনশটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কুলিক নদী পাড়াপার করেন। জেলা সদর রায়গঞ্জে আসা থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন কাজে শহরে আসতে গেলে এই নদী পার করে আসতে হয়। বর্ষায় নৌকা এবং শুকনোর দিনে বাঁশের সাঁকো যাতায়াতের জন্যে একমাত্র ভরসা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে যেতে সেতু না থাকায় ঘুরপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। এতে সময় বেশি লাগার কারনে অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। তাই এবারে ব্রিজ না হলে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সব রাজনৈতিক দলই এই খলসিঘাট সেতু নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। প্রতিবার ভোটের আগে ব্রিজ তৈরী করাা প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর সেতুর কথা কারও মনে থাকেনা। বছরের পর বছর চরম বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন তাঁরা। তাই এবারে সেতু না হলে আসন্ন বিধানসভার ভোট বয়কট করা হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল গ্রামে প্রচারে এলে তাদেরকে গ্রামের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এলাকায় সেতুর জন্য ভোট বয়কটের বিষয় নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্নেন্দু দে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও ওই ব্রিজ হয়নি বলে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করবো। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।