নিজস্ব সংবাদদাতা , মালদা , ১১ মে : কালবৈশাখি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উওর মালদার বিভিন্ন এলাকার কৃষিজ ফসল। সোমবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া গাজোল সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়।
মঙ্গলবার ভোরে হয় শিলা বৃষ্টিও।শিলার আঘাতে গাছ থেকে ঝরে পড়েছে পাকা ধান৷ নষ্ট হয়ে গিয়েছে জমিতে থাকা পাটও৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা ও মাখনা চাষেও৷ শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে পুরোপুরি ধস্ত বেশ কয়েকটি ব্লকের আম চাষ৷ শিলাবৃষ্টিতে কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত চাষিদের। চড়াসুদে ঋণ নিয়ে জমিতে ফসল লাগিয়েছিলেন কৃষকেরা। কিভাবে সেই ঋণ শোধ করবে সেই চিন্তাতেই আকূল বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সামিম জানান, এবছর ধারদেনা করে ও সুদে ঋণ নিয়ে তিনবিঘা পাট চাষ করেছিলেন। ইতিমধ্যে সার ও বীজে যথেষ্ট টাকা খরচ হয়ে গেছে।পাট বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাট তোলার আগেই সব শেষ। সরকারী প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য প্রদানের আর্জি জানিয়েছেন কৃষকেরা। অন্যদিকে মহিলা ভাগচাষি সাইনাস বিবি জানান, ঋণ করে একবিঘা ধান ও এক বিঘা পাট চাষ করেছিলেন।পাট বিক্রি করে পরিশোধ করার কথা। এখন কিভাবে পরিশোধ করবে ও সারাবছর কিভাবে পরিবার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। অপরদিকে এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে চাষের জমিতে পরিদর্শনে যান চাঁচলের মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। কথা বলেন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে। অন্যদিকে দুর্গত চাষিদের ক্ষতির তালিকা তৈরি করে স্থানীয় কৃষি দপ্তরে জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। নীহারবাবু বলেন, চাঁচলের প্রায় ৯০শতাংশ মানুষ কৃষির ওপরে নির্ভরশীল। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই এলাকাগুলিতে। এবিষয়ে কৃষি দপ্তরে কথা বলেছেন। চাষিদের ক্ষতির তালিকা তৈরি করে স্থানীয় কৃষি দপ্তরে জমা দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। কৃষকদের যাতে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা যায় সেজন্য জেলাশাসক ও রাজ্যস্তরেও আর্জি জানাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।