
হরিশচন্দ্রপুর, ২৬ জুন : চারদিন কেটে গেলেও অপহৃতা মেয়ের সন্ধান না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হল পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার খিদিরপুর গ্রামে। পরিবারসুত্রে জানা গিয়েছে, এক আত্মীয়ের অসুস্থতার দরুণ পরিবারের লোকেরা না থাকায় বাড়িতে বৌদির সঙ্গে একাই ছিলো ওই নাবালিকা।
গত ২২শে জুন এক মুদি দোকান থেকে জিনিস কিনে ফেরার পথে দুই যুবক তার পথ আটকে জোরপূর্বক বাইকে তুলে নিয়ে যায়। তার বৌদি বাধা দিতে গিয়ে তাদের আটকাতে পারেনি।পরিবারের লোকেরা বাড়ি ফিরে বিষয়টি জেনে সন্ধান শুরু করলেও তার কোন খোঁজ মেলেনি। নাবালিকার মা জানান, ১৮ জুন তার এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে কাটিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে দেখতে চলে যান এবং আত্মীয়ের সেবা যত্নের জন্য হাসপাতালে তিনদিন থেকে যান।বাড়িতে রেখে যায় তার ছোটো মেয়ে ও বৌমাকে। ২২ জুন সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ সাঞ্জারী গ্রামের এক মুদির দোকান থেকে জিনিস কিনে বাড়ি মুখি আসার পথে ওই দুই যুবক তার মেয়েকে অপহরণ করে।পরিবারের লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই নাবালিকার কোনও সন্ধান পাননি।এরপরেই শুক্রবার যুবকের নাম সেখ সাবির ও সেখ সেরাজুল সহ পাঁচজনের নামে হরিশচন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে অপহৃতা নাবালিকার পরিবার। যদিও অভিযুক্ত দুই যুবক তার বৌমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। তবে তার মেয়ের কোনরুপ প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।যদিও জানা গিয়েছে ওই যুবকেরা দীর্ঘদিন ধরে ভিন রাজ্যে যাতাযাত করে।নারীপাচার কান্ডের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।তবে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, নাবালিকা নিখোঁজের অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন : অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার দুই শিশু সহ সাত বাংলাদেশি
