হরিশ্চন্দ্রপুর, ১২ জুন : আচমকা স্নায়ু জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরা করা স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সালালপুর গ্রামের বাসিন্দা সিমা পারভিন। সে তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
তার বাবা সইদুল ইসলাম হাটে ঘাটে মাজন বিক্রি করেন। উল্লেখ্য, ছয়মাস আগে স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত হয় সিমা। তার চিকিৎসায় খরচ হয়ে গিয়েছেজমানো সর্বস্ব অর্থ। যদিও লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে হাট। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আয়ের পথও।মালদার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করালেও অর্থের অভাবে এখন তাও বন্ধ।চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া আশু প্রয়োজন। কিন্তু বাঁধ সেধেছে পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা। লকডাউনে সেভাবে কাজ না থাকায় তিনবেলা খাওয়ার জোগানোটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে সইদুল ইসলামের কাছে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করলেও এখনও তা হাতে মেলেনি। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাছে সিমা।এবারে তাই মেয়ের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়ে চিঠি লিখলেন সাইদুল ইসলাম। সইদুল ইসলাম জানান, এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্বামী-স্ত্রী সহ মোট চারজনের অভাবের পরিবার।হাটে হাটে দাঁত মাজন বিক্রি করে কোনো রকমে পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেন।লকডাউনের কারণে প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে হাটা।কাজ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে।ধার দেনা করে মালদায় এক বেসরকারি নার্সিং হোমে মেয়ের চিকিৎসা করালেও এখন টাকার অভাবে থমকে রয়েছে চিকিৎসা। পাননি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। ফলে সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। অন্যদিকে ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করে পরিবারটির জন্য দ্রুত স্বাথ্য সাথী কার্ড ও মেয়েটির জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলম।এই বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। প্রশাসনিকভাবে যথাসম্ভব ওই অসুস্থ মেয়েটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।