নিউজ ডেস্ক , ২৫ মে : ছোটো থেকে কুস্তিগির হওয়ার ইচ্ছে ছিল সুশীলের। কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। বেজিং অলিম্পিক্সে সেরা হয়ে দেশকে এনেদিয়েছিলেন পদকও।
তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় তাঁকে। মিলেছে একাধিক সাফল্য৷ ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকসে ব্রোঞ্জজয়ী সুশীলকে দেশের ক্রীড়াজগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল৷ তার আগে ২০০৬ সালে অর্জুন পুরস্কার আসে সুশীলের ঝুলিতে ৷ ২০১১ সালে পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী সম্মানও৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে এক লকমায় সব শেষ৷ জীবনে কষ্ট করে সঞ্চয় করা খ্যাতি, যশ, প্রতিপত্তি ধুলোয় মিশেছে। দেশের এক সময়ের কুস্তিগির এখন খুনের অভিযোগে জেল বন্দি। সম্প্রতি আরেক কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুশীল কুমারকে৷ এই পরিস্থিতিতে রেলের সরকারি উচ্চপদের চাকরি আর থাকছে না সুশীলের। কেড়ে নেওয়া হতে পারে পদ্মশ্রী সম্মান। খেলরত্ন, অর্জুন পুরস্কারও খোয়াতে হবে তাকে৷ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নর্দান রেলের সিপিআরও দীপক কুমার জানিয়েছেন, “দিল্লি সরকারের তরফে রেলের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট এসেছে। সুশীলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ওকে সাসপেন্ড করা হবে পদ থেকে ‘ বিশেষ সূত্রে খবর, দিন দুয়েকের মধ্যে কুস্তিগীরকে সাসপেন্ড করতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। সেজন্যই একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে ‘ভাবিয়া করিও কাম, করিয়া ভাবিও না।’