
মালদা, ২২ জুন : মঙ্গলবার কালিয়াচক হত্যাকান্ডের পুনঃনির্মাণ করলো পুলিশ।এদিন এই হত্যাকান্ডে মূল অভিযূক্ত আসিফ মহম্মদ ও তার দাদা আরিফ মহম্মদকে কালিয়াচকের পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায় নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে ম্যানিকুইন ও প্লাইউড বোর্ড দিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়।
পাশাপাশি এদিন আসিফের বাড়ি লাগোয়া ওই রহস্যজনক গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক পদার্থ। সেগুলো অ্যাসিড কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।আসিফের বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমার দেহগুলির পরিণতি দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেগুলি অ্যাসিড বা অন্য কোনও রাসায়নিকের মাধ্যমে লোপাটের ছক কষা হয়েছিল। নিশ্চিত হতে ৪ জনের দেহে লেগে থাকা মাটি এবং ওই গুদামের গর্তের মাটিও পরীক্ষা করা হবে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য গত শনিবার বাড়ির ট্যাঙ্ক থেকে চারজনের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও পর্যন্ত যতটা এগিয়েছে তাতে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদকে গ্রেফতার করে অবৈধভাবে হ্যাকিংয়ের বিষয়ে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া আসিফ ও তার দুই বন্ধুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। তারা কোন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী। এছাড়াও পরিবারের চারজনের খুন করার পদ্ধতি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। এই তদন্তের অঙ্গ হিসেবে এদিন অভিযুক্ত আসিফ ও আরিফকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন এদিন।তদন্তকারীরা আরো জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি খুন এবং দেহ লোপাটের নানা প্রক্রিয়া নিয়ে ইন্টারনেটে খোঁজখবর নিচ্ছিল আসিফ।তার ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ইন্টারনেট সার্চ হিস্ট্রি ঘেঁটে এমনই সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনসুত্রে।
আরও খবর পড়ুন : মিড ডে মিলের পরিবর্তে টাকা চাওয়ার অভিযোগ। বিক্ষোভ অভিভাবকদের
