নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ৯ মে : জন্মদিবসে কবিগুরুর নামাঙ্কিত সরকারী ভবনে উপেক্ষিত রইলেন বিশ্বকবি। গোটা রাজ্য জুড়ে রবিবার যেখানে করোনা আবহের মধ্যেও নিয়ম মেনে অনাড়াম্বরভাবে পালিত হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মজয়ন্তী।
সেখানে ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেল চাঁচলে। চাঁচলে বিশ্বকবির নামাঙ্কিত ভবনে ব্রাত্যই থাকলেন রবীন্দ্রনাথ । এদিন কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান দূরে থাক, পরিষ্কার করা হয়নি তার আবক্ষ মূর্তিটিও। এমনকী দুপুর পর্যন্ত তালাবন্ধ রয়ে যায় ভবনের দরজাও। এই ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টদের মধ্যে।বিষয়টি দেখতে পেয়ে দরজার বাইরে থেকে কবিগুরুকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এলাকার শিক্ষক দীপক চ্যাটার্জী। দীপকবাবু জানান, প্রতিবছর বাড়িতে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করার পাশাপাশি রবীন্দ্রভবনে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন রবীন্দ্র ভবনের গেটে ঝুলছে তালা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত ভবনের গেটে সকাল থেকেই ঝুলল তালা। কবিগুরুর মূর্তিটি পরিষ্কারও করা হয়নি। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা তো দূরের ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির গর্ব। সেখানে তার নামাঙ্কিত ভবনে শ্রদ্ধা না জানানোটা দূর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। এই ঘটনায় প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগেও সরব হয়েছেন তিনি।যদিও এবিষয়ে চাচোল মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সঞ্জয়বাবু।