নিউজ ডেস্ক, মহদীপুর ১৬ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় সরকারের ২৪ ঘণ্টার নোটিশের জেরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ রপ্তানিকারক থেকে শুরু করে লরি চালক এবং ব্যবসায়ীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তে মালদা জেলার মহদীপুর ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে নাসিক সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজ বোঝাই গাড়ি গুলি আটকে পড়েছে। না পাচ্ছে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে না ফিরে যেতে পারছে নিজ রাজ্যে।
ফলে নিয়মের বেড়াজালে পড়ে সূর্যের আলো এবং বৃষ্টির কারণে লরি বোঝাই পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। ফলে দিন পেরোলেই লাফিয়ে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। ভিন রাজ্য থেকে পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে এসে আটকে পড়ায় ইতিমধ্যে টাকাপয়সা শেষের দিকে চালকদের। ফলে ইচ্ছা থাকলেও নিজ রাজ্যে ফিরে যেতে পারছেন না তাঁরা। এই মুহূর্তে মহদীপুর স্থলবন্দরে প্রায় ৪০০ পেঁয়াজ বোঝাই গাড়ি আটকে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় কুড়ি কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে পেঁয়াজ বোঝাই লরি গুলি বাংলাদেশ রপ্তানি না করা হলে রপ্তানীকারকদের আগামীতে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এবিষয়ে মহদীপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে এমনিতেই বেশ কয়েকমাস সীমান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে সীমান্তে আটকে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজ বোঝাই লরি গুলি।
ইতিমধ্যেই লরি বোঝায় পেঁয়াজগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে যাতে সীমান্তে আটকে পড়া লরি গুলিকে আপাতত রপ্তানি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে আগামীতে পেঁয়াজের দাম আরও অগ্নিমূল্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে এবিষয়ে মহদীপুর সিএনএফ(CNF) এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মন্ডল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা জারি করার আগেই প্রায় ১৫০ গাড়ি মহদীপুর স্থল বন্দরে এসেছিল। বর্তমানে প্রায় ৪০০ গাড়ি আটকে পড়েছে। এত গরমে পেঁয়াজ পচতে শুরু হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। তাই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।