নিউজ ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর : মা কালীকে ভোগে নিবেদন করা হয় চাউমিন। অবাক হচ্ছেন! এমন মন্দির রয়েছে তাও আবার এই বাংলাতেই। কোলকাতার ট্যাংরার চিনাপট্টিতে রয়েছে এই কালী মন্দির।প্রায় আড়াইশো বছর আগে কোলকাতায় প্রথম চীনাদের আনাগোনা শুরু হয়।টোনি আচিউ নামে এক জন চীন
দেশের নাগরিক।তাঁর পদচিহ্ন ধরেই মূলত গুয়ানদং প্রদেশ থেকে বহু চিনা সম্প্রদায়ের মানুষ
টেরিটি বাজার ও ট্যাংরা এলাকায় বাসা বাঁধেন ।সেই থেকে বাংলাকে ভালোবেসে আপন করে নিয়েছেন এখানকার সংস্কৃতিকে। এভাবেই প্রায় ৭০বছর আগে এখানে কালী পুজোর সুচনা হয়।কথিত আছে, এই মন্দিরের জায়গায় আগে ছিলো সিঁদুরে লেপা কালো পাথরের থান।এলাকার এক বাসিন্দার ছেলের জ্বর হলে তারা এই থানে এসে মাথা ঠোকে।এরপরেই ছেলে সুস্থ হলে তারাই কালিমন্দিরের নির্মাণ করে এখানে।গত পনেরো বছর ধরে এই মন্দিরের সেবাইত জন চেং।জন বাবুর বেড়ে ওঠা এই ট্যাংরা অঞ্চলেই। তাঁর আত্মীয়রা তখন দেখাশোনা করতেন মন্দিরের। একটা সময় তিনি নিউইয়র্কে চলে গিয়েছিলেন। ১৯৯৭সালে তিনি ফিরে আসেন নিজের দেশে, মানে কোলকাতায়।এরপরেই দ্বায়িত্ব নেন এই মন্দিরের।চেং-রা বংশপরম্পরায় ক্রিশ্চান। তবুও মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ওতপ্রোতভাবে। নিজের হাতে গাঁথেন জবার মালা। সাজিয়ে রাখেন কোশাকুশি। শুধু পুজোর সময় তাঁকে সাহায্য করেন একজন পুরুতমশাই।এবারও যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ভাইপো জোসেফ চেং ও তার বন্ধুরা।এবারেও নিয়ম মেনে কালীপুজা হয়েছে এখানে।যদিও করোনার কারণে আয়োজন অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূলত ধর্ম বিভেদ মানে না ঈশ্বর। তার কাছে সাধকের পরিচয়টিই হয়ে ওঠে অনন্ত।