মমতার সন্ন্যাস নিয়ে আপত্তি!

পরনে গেরুয়া বস্ত্র, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, খোলা কালো চুল ও কপালে তিলক। এভাবেই শুরু করেছিলেন নিজের জীবনের নতুন এক অধ্যায় ( a new chapter of life )।অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি ( actress mamta kulkarni ) । সন্ন্যাস ধর্মের
পাশাপাশি পিণ্ডদানের রীতিও পালন করেছিলেন তিনি। কিন্নর আখড়া ( kinnar akhra ) থেকে পেয়েছিলেন মহামণ্ডলেশ্বরের ( mahamandaleswar ) সম্মান। তবে শুরু থেকেই সেই পদ নিয়ে আপত্তি ছিল সকলের। প্রসঙ্গত মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং বাবা রামদেব ( baba ramdev )। তিনি বলেছিলেন, একদিনে কেও সন্ন্যাস ধর্ম নিতে পারে কি? এখন তো দেখছি যে কেউ যখন তখন এসে মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা পেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে বলেছেন, তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ। শুধুমাত্র তিনি প্রভাব খাটিয়ে এই পদ পেয়েছেন। কিভাবে কেউ হঠাৎ মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে উঠতে পারেন? যাঁদের অন্তর সত্যিই একজন সন্ন্যাসীর মতো, তাঁদেরই এই আখ্যা দেওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি এই ধরনের সম্মানিত পদ অর্জনের জন্য বছরের পর বছরের আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা এবং নিষ্ঠার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সাধু।
১০ কোটি দিয়ে পদ পেয়েছেন মমতা!

সন্ন্যাসের পথে পা বাড়িয়ে কিন্নর আখড়ায় ( kinnar akhra ) মহামণ্ডলেশ্বর পদ পাওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। অতীতে বিনোদিন জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর , এক সময় সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতেন তিনি এবং অপরাধ কার্যকলাপের সঙ্গে নান জড়ানোয় অনেক বিতর্ক উঠেছে। মহামণ্ডলেশ্বর পদ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর তাকে সেই পদ থেকে বহিস্কৃত ( expelled ) করা হয়। একথা অবশ্য জানিয়েছেন কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস ( Founder Rishi Ajay Das ) । তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, কোনো ধর্মীয় আখরা বা ঐতিহ্য অনুসরণ না করে এবং তাঁকে প্রথমে সন্ন্যাসিনী না করে তাঁকে সরাসরি মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি এবং পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। তাই দেশ, সনাতন ধর্ম ও সমাজের স্বার্থে আমি তাঁকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি। এমনকি মমতার কুলকার্নির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা দিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কেনার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, মমতা মহামণ্ডলেশ্বর উপাধির জন্য নাকি ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন এবং তারপর এই পদ পেয়েছেন তিনি। এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য নিজেই দিয়েছেন অভিনেত্রী ( actress mamta kulkarni )।
মমতার প্রতিক্রিয়া

প্রাক্তন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কিনে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা তো অনেক দূরের কথা। আমার কাছে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত নেই। মহামণ্ডলেশ্বর – এর জন্য গুরুকে গুরুদক্ষিণা নিবেদন করতে হয় সেই গুরুদক্ষিণা স্বররূপ যে তিনি ২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন সেটাও আবার ধার করে। এছাড়াও আরো বলেন, এখন আমার সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ ( Bank account closed ) হয়ে রয়েছে। আপনাদের কারো ধারণা নেই আমি কিভাবে দিন যাপন করছি বা বেঁচে আছি। আমার কাছে এই মুহূর্তে কোনো টাকা নেই। সরকার আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ ( Bank account closed ) করে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয় মমতা আরো বলেন, বিগত ২৩ বছর ধরে আমার তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট জরাজীর্ণ অবস্থায় ( Three apartments are dilapidated ) পড়ে রয়েছে। সেখানে উইপোকার উপদ্রব এই মুহূর্তে মাথা চারা দিয়েছে। আমি যে কী ভয়ানক আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তা বর্ণনা করতে হয়তো পারব না।