নিউজ ডেস্ক : কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি। আর ইলিশ মাছ হলে তো ষোলোকলা পূর্ন। আদরে আমন্ত্রণে ভুরিভোজে সব জায়গাতেই রসনাতৃপ্তির হিট ফর্মুলা ইলিশ। কিন্তু চলতি বছরে প্রকৃতির মুড সুইং এর ঠ্যালায় শুরু থেকেই চিন্তায় রয়েছে আম আদমি। বাড়ির কর্তা থেকে গিন্নি সেই চিন্তা পৌঁছে গিয়েছে সকলের কাছে।
নিষিদ্ধ মাদক ব্রাউন সুগার সহ তিন পাচারকারী গ্রেফতার
গত জুন মাসে জামাইষষ্ঠীতেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় অবশ্য মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সমুদ্র কিংবা নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় বাজারে ইলিশের ভাটা পড়েছিল। সাথে বাঁধ সেধে ছিল প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা। তবে তার পর কেটে গিয়েছে একমাস। পরবর্তীতেও সেই রেশ থেকেই যায়। সাধারনতঃ বাংলাদেশের পাশাপাশি দিঘার সমুদ্র থেকেও ইলিশের আমদানী হয় প্রতিবছর। বছরের এই সময় বাজার ইলিশে থৈ থৈ করে। অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশের দাম কিছুটা বেশী হলেও হামলে পড়ে ইলিশ কিনতে দেখা যেত বহু মানুষকে। দক্ষিনবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সর্বত্র ছবিটা ছিল একই রকম। কিন্তু এবছরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জের বাজার গুলিতে এবারে ইলিশের দেখাই নেই। দু-একটা বড় ইলিশ ইতি উতি উঁকি মারলেও দাম শুনে মাথার চুল উঠে যাওয়ার জোগার। একদিকে আমদানী কম অপরদিকে মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা। তাই দাম বাড়াটাই স্বাভাবিক। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেল ১২০০-১৮০০ টাকা দরে বিকোচ্ছে ইলিশ।
মাছ ব্যবসায়ী রাজকুমার মন্ডল জানান, এই সময় বাজারে ইলিশের প্রচুর জোগান থাকে। কিন্তু এবারে ইলিশের আমদানি তেমন দেখা যায়নি। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে আস্তে আস্তে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। বাজারে মানুষের চাহিদা আছে কিন্তু দাম অতিরিক্ত। সাইজ অনুযায়ী ১২০০,১৪০০,১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ।
গাজোল কান্ডে ডাকাতদের সঙ্গে গুলির লড়াই পুলিশের, গ্রেফতার ৪
মাছ ব্যবসায়ী লিটন মন্ডল জানান, বাজারে ইলিশের আমদানি নেই বললেই চলে। সব মাছ স্টোরেজে। বাজারে যথেষ্ট চাহিদা আছে ইলিশের। কিন্তু সাপ্লাই দেওয়া যাচ্ছে না।বাজারে ইলিশের দাম শুনে পকেটের দিকে তাকিয়ে ঢোঁক গিলছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষজন। তাই এদিক ওদিক না ঘুরে ছোট ইলিশ কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হচ্ছে অনেককেই।